রাষ্ট্রীয় চার নীতির দুর্দশা ঘটিয়েছে কারা
শাসনতন্ত্রের চারটি রাষ্ট্রীয় মূলনীতি আমাদের সংবিধানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবেই গৃহীত হয়েছিল। মনে করা হয়েছিল যে এগুলো রাষ্ট্রের মতাদর্শিক স্তম্ভ এবং সেই সঙ্গে গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের স্মারক। আশা ছিল যে তা কখনোই পরিত্যক্ত হবে না। তাদের নির্দেশনাতেই আমরা সামনে এগুবো। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে মূলনীতিগুলো আগের মতো নেই, বদলে গেছে। বদলে যে গেছে সেটা বোঝার জন্য সংবিধানের সংশোধনীগুলোর অবস্থার খোঁজ করার দরকার হয় না, সর্বত্রই তাদের মলিনতা টের পাওয়া যায়। পরিবর্তন গোটা আর্থ-সামাজিক আবহাওয়া জুড়েই ঘটেছে। আবহাওয়াটা ভালো নয়।
মূলনীতি চারটি কেন এসেছিল? এসেছিল আমাদের সমষ্টিগত সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার হিসেবে। না-এসে উপায় ছিল না। শুরুতে, যুদ্ধকালে, মূলনীতি ছিল তিনটি : ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র। এদের কেউই ভুঁইফোড় নয়। আকাশ থেকেও পড়েনি। কোনো ষড়যন্ত্রের কারণে কিংবা করুণার পথ ধরে আবির্ভূত হয়নি। তাদের আসাটা ছিল যেমন অনিবার্য তেমনি স্বাভাবিক।
একেবারে প্রাথমিক প্রয়োজন ছিল ধর্মনিরপেক্ষতার। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের শুরুই হয়েছিল দ্বিজাতিতত্ত্বকে প্রত্যাখ্যান করে। দ্বিজাতিতত্ত্বটা ছিল ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদের উপর নির্ভরশীল। বাঙালীরা সেটাকে প্রত্যাখ্যান করেছে দেখে পাকিস্তানী হানাদারেরা ক্ষিপ্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত উন্মাদের মত ঝাঁপিয়ে পড়েছে গণহত্যায়। ঘা লেগেছিল তাদের স্বার্থে। তারস্বরে তারা ঘোষণা করেছিল ইসলামকে রক্ষা করবে; ইসলাম রক্ষা আর পাকিস্তান রক্ষা তাদের কাছে একাকার হয়ে গিয়েছিল। হানাদারদের যারা পালের গোদা, সামরিক বাহিনীর মস্ত মস্ত বীরপুরুষ, তারা ধর্মকর্মের জন্য বিখ্যাত ছিল না। নিজেদের শৌর্যবীর্য তারা ধর্মাচরণের ভেতর দিয়ে প্রদর্শিত করেনি।
পাকিস্তানী জাতির পিতা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ নামাজ পড়তেন বলে জানা যায় না; রোজার মাস কখন আসে কখনই বা বিদায় নেয় তার খবর যে রাখতেন না এমন প্রমাণ আছে। অখণ্ড পাকিস্তান রাষ্ট্রের শেষ প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের বিশেষ খ্যাতি জঙ্গের ময়দানে যতটা না প্রকাশ পেয়েছে ততোধিক ধরা পড়েছে মদ্যপানের আসরে। কিন্তু ওই রাষ্ট্রনায়কেরা কেউই রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করতে কার্পণ্য করেননি। ধর্মকে তাঁরা ব্যবহার করেছেন ধর্মের স্বার্থে নয়, নিজেদের স্বার্থেই। অপরদিকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের সূত্রপাতই হয়েছিল ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে নাকচ করে দিয়ে। বাংলাদেশের মানুষ হানাদারদের চেয়ে অবশ্যই বেশী ধার্মিক; কিন্তু ধর্ম ও রাষ্ট্রকে তারা কখনোই একাকার করে ফেলতে চায়নি। আলাদা করে রাখতে চেয়েছে। এমন কি পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠার জন্য তারা যে উৎসাহী হয়েছিল সেটাও ধর্মের প্রয়োজনে নয়, ইহজাগতিক প্রয়োজনেই। তারা আশা করেছিল পাকিস্তান তাদেরকে শোষণ থেকে মুক্ত করবে। হুজুরদের স্ফীতি দেখলে এখনও তারা অস্বস্তিই বোধ করে, ভরসা পাওয়া দূরের কথা।
মূলনীতির আরেকটি ছিল গণতন্ত্র। পাকিস্তানে গণতন্ত্রের নামনিশানা ছিল না। সেখানে শাসন ছিল পুরোপুরি আমলাতান্ত্রিক; অসামরিক কখনো কখনো, সরাসরি সামরিকই ছিল বড় একটা সময় জুড়ে। এটা তো জানা সত্য যে প্রকৃত গণতন্ত্র ভোটের চেয়ে বেশী কিছু; সে-গণতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে নাগরিকদের অধিকার ও সুযোগের সাম্য, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং প্রকৃত জনপ্রতিনিধিদের কর্তৃত্ব। যথার্থ গণতন্ত্র তো ছিলই না, ভোটের গণতন্ত্রও দেখা যায়নি। পাকিস্তানের তেইশ বছরের ইতিহাসে কোনো সাধারণ নির্বাচন হয়নি, শেষমেশ যখন হলো তখন রাষ্ট্র নিজেই গেল দু'টুকরো হয়ে। গণতন্ত্রের প্রাথমিক শর্তও কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতাই। ইহাজগতিকতার প্রতিষ্ঠার জন্য তো অবশ্যই, নাগরিকদের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্যও ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন দূর করাটা ছিল অত্যাবশ্যকীয়।
যাকে প্রকৃত গণতন্ত্র বলছি সেটার অর্জন সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া সম্ভব নয়। তার কারণ সম্পত্তির সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা না করলে অধিকার ও সুযোগের সাম্য আসে না; ধনবৈষম্য বহুবিধ বৈষম্যের আকর হয়ে দেখা দেয়। পাকিস্তান-আমলে সকল ক্ষেত্রেই সেটা ঘটেছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার জন্য যে সংগ্রাম হয়েছে তাতে জাতীয়তাবাদীরা ছিলেন, সমাজতন্ত্রীরাও ছিলেন। বড় দু'টি ঘটনায়, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে, সমাজতন্ত্রীরাই ছিলেন সম্মুখবর্তী শক্তি। কিন্তু রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লড়াইটাতে তাঁরা নেতৃত্ব দিতে পারেননি। সেটা দিতে পারলে লড়াইয়ের মীমাংসাটা হয়তো অন্যরকমের হতো, এবং রাষ্ট্রীয় চারনীতির মধ্যে সর্বশেষ যেটি, অর্থাৎ সমাজতন্ত্র, সেটিই এককভাবে প্রতিষ্ঠা পেতো; অন্য তিনটির আবশ্যকতা থাকতো না।
মনে আছে যে, একাত্তরের যুদ্ধের সময়ে তিনটি নীতির কথাই শোনা গেছে; জাতীয়তাবাদ যুক্ত হয়েছে যুদ্ধজয়ের পরে। সংযোজনটা জাতীয়তাবাদীরাই করেছেন। আগে যে করেন নি সেটা হয়তো প্রয়োজন মনে করেন নি বলেই। কেননা যুদ্ধটা তো আত্মস্বীকৃত ও ঘোষিত রূপেই ছিল জাতীয়তাবাদী। কিন্তু মূলনীতির তালিকায় পরে যে জাতীয়তাবাদকে যুক্ত করলেন তার পেছনে তাড়নাটি কি ছিল? সেটা কি এই যে, নিজেদেরকে এই মর্মে আশ্বস্ত করাটা দরকার পড়েছিল যে তারা জাতীয়তাবাদ থেকে বিচ্যুত হবেন না? নাকি অন্য তিনটি মূলনীতিকে নিয়ে তাঁদের অস্বস্তি ছিল, সেগুলো যাতে জাতীয়তাবাদকে অভিভূত করে না ফেলে তার জন্যই জোরেশোরে জানিয়ে দেওয়া যে, জাতীয়তাবাদ আছে এবং থাকবে?
এই জিজ্ঞাসাটা কিন্তু রয়েই যাচ্ছে। তাত্ত্বিক ভাবেও জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের দূরত্বটা কোথায় ও কতটা সে-নিয়েও তদন্ত চলতে পারে, বিশেষ করে এই জন্য যে, হানাদার পাকিস্তানীরাও জাতীয়তাবাদীই ছিল, এবং তারা খুবই দূরে ছিল অন্য তিনটি মূলনীতি থেকে। আর এটাও তো জানা আছে আমাদের যে, জাতীয়তাবাদীরা যদি সমাজতন্ত্রের আওয়াজ তোলে তাহলে সেটা হয়ে দাঁড়ায় অশনি সংকেত। হিটলার তো জাতীয় সমাজতন্ত্রের আওয়াজ তুলেই তাঁর দেশের লোককে ক্ষেপিয়েছিলেন; নিজের দলের নামও রেখেছিলেন জাতীয় সমাজতন্ত্রী জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি। আর গণতন্ত্র অর্থ যদি কেবলি ভোট হয় তবে তো ডিক্টেটর হিসেবে আবির্ভাবের সময় তাঁর পক্ষে ভোট পড়েছিল শতকরা ৮৮টিই। তাহলে? মুসোলিনীও যাত্রা শুরু করেছিলেন সমাজতন্ত্রের পতাকা হাতেই, পরে সুযোগ বুঝে তুলেছেন জাতীয়তাবাদের পতাকা। সমাজতন্ত্রীদের সমাজতন্ত্র আর জাতীয়তাবাদীদের সমাজতন্ত্র এক বস্তু নয়, একেবারেই আলাদা।
মোটাদাগে সত্যটা এই রকমের যে, জাতীয়তাবাদ যখন আত্মরক্ষামূলক না হয়ে ক্ষমতালিপ্সু হয় তখন তার হাতে কোনো নীতিই নিরাপদ থাকে না। একাত্তরে প্রকাশ্যে যুদ্ধটা চলছিল পাকিস্তানী জাতীয়তাবাদের সঙ্গে বাঙালী জাতীয়তাবাদের; এতে পাকিস্তানীরা ছিল ক্ষমতালিপ্সু, বাঙালীরা আত্মরক্ষাকারী। ক্ষমতালিপ্সু হিটলারের, মুসোলিনীর ও ইয়াহিয়া খানের জাতীয়তাবাদ আবার পুঁজিবাদীও বটে। পুঁজিবাদের প্রথম কাজ বৈষম্য সৃষ্টি করা; যে জন্য চরিত্রগত ভাবেই সে ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের বিরোধী। ওই তিনটি নীতি বৈষম্য মানে না, উল্টো তার অবসান চায়।
বাংলাদেশের আদি রাষ্ট্রীয় মূলনীতিগুলোর বর্তমানে যে দুর্দশা এর ভেতরে আমাদের গত ৫২ বছরের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসটা লুকিয়ে রয়েছে। এটি পুঁজিবাদী উন্নতির ইতিহাস। এক দিকে ঘটেছে উন্নতি অপর দিকে অবনতি। যেমন ঢাকা শহরে প্রচুর মোটর গাড়ি এসেছে, কিন্তু তাতে শহরের বাসিন্দাদের চলমানতা বাড়েনি, উল্টো কমেছে। দেশে কেউ কেউ ধনী হয়েছে, ইতিমধ্যে বিশ্বমানের একজন ধনীর সন্ধান পাওয়া গেছে, অচিরেই তাদের সংখ্যা বাড়বে। এর বিপরীতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। দুর্নীতিতে আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হতে পেরেছি, বায়ু দূষণে ঢাকা সারা পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের উপস্থিতি অত্যন্ত উজ্জ্বল, কিন্তু নারী-নির্যাতনের মাত্রা ক্রমাগত নিষ্ঠুরতর হচ্ছে। শিক্ষিতের হার বাড়ছে; কিন্তু তিন ধারার শিক্ষা তিন দিকে ছুটছে।
আধুনিকতা বেপরোয়া হতে চাইছে, আবার ধর্মের হেফাজতীরাও বেগে ধেয়ে আসছে। পুঁজিবাদী এই উন্নতির পক্ষে রাষ্ট্রীয় মূলনীতিগুলোর সঙ্গে শত্রুতা না-করে উপায় নেই; এবং সেটাই সে নিয়মাফিকই করে চলেছে। মূলনীতিগুলোর দুর্দশা সামাজিক দুর্দশারই প্রতিচ্ছবি। অতিশয় বিশ্বস্ত। উন্নতির নীচে চাপা পড়ে নিঃশব্দে ক্রন্দন করছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
পুঁজিবাদ দৃশ্যত বেশ ভদ্র, কিন্তু ভেতরে অতিশয় নির্মম। এই নির্মমতার চেহারাটা ভয়াবহ রকমের দানবীয়। প্রতীক দেখতে চাইলে দেখতে পাবো ডক্টর জেকিল এবং মিস্টার হাইডে'র সম্পর্কের মধ্যে। ড. জেকিল একজন চিকিৎসাবিজ্ঞানী, তিনি অত্যন্ত সজ্জন ও জ্ঞানী। ভদ্রলোক এমন একটা ওষুধ আবিষ্কার করেছেন যার প্রয়োগে তার নিজের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কুপ্রবৃত্তি ব্যক্তির অবয়ব নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে। এই লুকানো মানুষটি যেমন কদর্য তেমনি নিষ্ঠুর। চিকিৎসাবিজ্ঞানী ড. জেকিল প্রায়ই মি. হাইডের চেহারা নিয়ে বের হয়ে আসতেন এবং তা-ব বাঁধাতেন। আস্তে আস্তে দেখা গেল দানবীয় মি. হাইড ভদ্রলোক ড. জেকিলের নিয়ন্ত্রণ আর মানছে না, যখন তখন বের হয়ে পড়ছেন এবং জেকিলের ওষুধের ক্ষমতাও ক্রমে কমে আসছে, হাইডকে জেকিলের ভেতর ফেরৎ পাঠাতে তার কষ্ট হচ্ছে। পুঁজিবাদের উন্নত ও সভ্যতার নীচে ওই দুরাচারীটি বসবাস করে। সে ন্যায়-অন্যায় মানে না, নিজের সুখ ছাড়া অন্যকিছু বোঝে না, সবকিছু ছারখার করে দেয়। মি. হাইডরূপী পুঁজিবাদ আজ বিশ্বব্যাপী তান্ডব চালাচ্ছে, রূপ নিয়েছে সে ফ্যাসিবাদের। আমরাও তার দৌরাত্ম্যের অধীনেই আছি। মুক্তির লালিত স্বপ্ন পদদলিত হচ্ছে। চতুর্দিকে তাই আতঙ্ক ও হতাশা।
রবার্ট লুই স্টিভেনসনের উপন্যাসে ড. জেকিল শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছিলেন। তার সাথে মি. হাইডেরও মৃত্যু ঘটে। কিন্তু পুঁজিবাদ যে আত্মহত্যা করবে এ ভরসা আজ মিছে। তাকে তাড়াতে হবে; তার জায়গায় মানবিক এক সভ্যতা এখন প্রতিষ্ঠার অপেক্ষায় আছে। সে-প্রতিষ্ঠা এমনি এমনি ঘটবে না, তার জন্য সংগ্রামের প্রয়োজন হবে। বিশ্বব্যাপী সে সংগ্রাম এখন চলছে। উগ্র জাতীয়তাবাদীরা নয়, অঙ্গীকারবদ্ধ সমাজতন্ত্রীরাই সেটা করছেন এবং করবেন।
আমাদের রাষ্ট্রীয় মূলনীতিগুলোর দুর্দশাও সে-খবরটাই দিচ্ছে। একাত্তরে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছে, কয়েক লক্ষ নারী সম্ভ্রম হারিয়েছে। রাষ্ট্রীয় মূলনীতিগুলো ওই সংগ্রামেরই অর্জন। তাদেরকে রক্ষা ও প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব আজ দেশবাসীর; নীতিগুলোর স্বার্থে নয়, নিজেদের স্বার্থে; বাঁচার প্রয়োজনে। এবং ভুলবার কোনো উপায়ই নেই যে লড়াইটা হবে পুঁজিবাদবিরোধী। রাষ্ট্রীয় চারনীতির দুর্দশা পুঁজিবাদই ঘটিয়েছে, তাকে না-তাড়ালে আমাদের মুক্তি নেই। এটা একাত্তরে সত্য ছিল, আজ সেটা সত্য আরও স্পষ্টরূপে।
Comments