বকেয়া চাওয়ায় টিআরজেড কারখানা বন্ধ, ফিরে গেছেন স্টাফ-শ্রমিকরা

‘আমার বাচ্চা অসুস্থ। টাকা দরকার। এখন কী করব, জানি না।’
টিআরজেড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের গাছা এলাকায় বকেয়া বেতন চাওয়ায় টিআরজেড কারখানা বন্ধের নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টায় কারখানার স্টাফ ও শ্রমিকরা কারখানায় গিয়ে বন্ধের নোটিশ দেখে ফিরে যান।

গতকাল গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে টিআরজেড পোশাক কারখানার দুই শতাধিক শ্রমিক ও স্টাফ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার একাধিক স্টাফ জানায়, গতকাল দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (টঙ্গী) সামনে বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও ছুটির টাকার দাবিতে তারা অবস্থান নিয়েছিলেন। আজ সকাল সাড়ে ৬টায় কারখানায় গিয়ে দেখতে পান, কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধের নোটিশ দিয়েছে। পরে তারা ফিরে যান। ঈদের আগে কারখানা খুলবে না এবং বেতনও পরিশোধ করবে না বলে তারা শুনেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, কারখানা বন্ধ থাকায় এখন কারখানার বাইরে একটি দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে আছি। আমার বাচ্চা অসুস্থ। টাকা দরকার। এখন কী করব, জানি না।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, টিআরজেড কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছেন, তারা গত ফেব্রুয়ারির বেতনের ৭৫ ভাগ টাকা পরিশোধ করলেও পুরো টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। শ্রমিকদের বেতন ২৫ ভাগ বকেয়া থাকলেও স্টাফদের চার মাসের বেতন বকেয়া আছে। শ্রমিক ও স্টাফরা মিলে একসঙ্গে আন্দোলন করেছে।

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি জিয়াউল কবির খোকন বলেন, শ্রমিকদের বেতন, ঈদ বোনাস ও ছুটির টাকা বকেয়া আছে। শ্রমিকরা গতকাল বকেয়ার দাবিতে কল কারখানা অধিদপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করছে। গতকাল রাতেই কর্তৃপক্ষ কারখানার সামনে বন্ধের নোটিশ দিয়েছে।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শক (টঙ্গী জোন) মাকসুদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, টিআরজেড কর্তৃপক্ষ বলেছে, গতকাল তারা স্টাফদের আংশিক বেতন দেওয়ার কথা বলেছিল। স্টাফরা মালিকপক্ষের কথা মানেনি। স্টাফদের দাবি, যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করতে হবে। এজন্য আজ অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৩/১ ধারায় কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে টিআরজেড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ অপুর নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তা ব্যস্ত পাওয়া যায়।

Comments