‘ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দীন সুস্থ আছেন, কাল বাসায় যেতে পারবেন’

নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধারের পর বান্দরবান সদরে র‍্যাব কার্যালয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম
নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধারের পর বান্দরবানে র‌্যাব কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ছবি: স্টার

সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীন সুস্থ আছেন এবং আগামীকাল তিনি বাসায় যেতে পারবেন বলে ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধারের পর তার সঙ্গে দেখা করতে সাড়ে ৯টার দিকে বান্দরবান সদরে র‍্যাব কার্যালয়ে যান আফজাল করিম।

প্রায় ৩০ মিনিট তিনি ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনের সঙ্গে কথা বলেন।

বান্দরবান র‍্যাব কার্যালয়ে ব্যাংক ম্যানেজার নেজামকে নেওয়া হলে তার সঙ্গে দেখা করতে যান সোনালী ব্যাংকের এমডি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি: স্টার

পরে বের হয়ে আফজাল করিম সাংবাদিকদের বলেন, 'রুমা শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীন শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। তিনি মানসিকভাবেও শক্ত আছেন।'

'আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। অপহরণের পর থেকে বিভিন্ন কিছুর বিষয়ে তিনি আমাদের জানিয়েছেন,' বলেন এমডি।

তিনি আরও বলেন, 'আশা করি তিনি আগামীকাল বাসায় চলে যেতে পারবেন।'

নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধারের জন্য তিনি র‍্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।

কোনো মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল কি না, জানতে চাইলে এমডি আফজাল বলেন, 'সার্বিক প্রচেষ্টায় এবং সবার সহযোগিতার মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। মুক্তিপণের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।' 

গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রুমায় উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্স ভবনে হামলা চালিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এ সময় তারা ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করে।

দুই দিনের অভিযানের পর র‍্যাবের মধ্যস্থতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর রুমা বাজারের পাশের এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে তাকে বান্দরবান সদরের র‍্যাব কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

রুমা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নেজাম উদ্দীনের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়।

অপহরণের বিষয়ে তিনি বলেন, 'রাত ৮টার দিকে দুবৃর্ত্তরা উপজেলা প্রশাসন কমপ্লেক্সের মসজিদে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন নামাজের জন্য অনেক কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। তাদেরকে সবাইকে বন্দি করে সন্ত্রাসীরা প্রচণ্ড মারধর করে। তারা অস্ত্র হাতে ব্যাংক ম্যানেজারকে জিম্মি করে ব্যাংকে নিয়ে যায়।'

তিনি আরও বলেন, 'ডাকাতরা ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রও লুট করেছে। তারা পুলিশের দুটি এসএমজি ও ৬০ রাউন্ড গুলি, আটটি চীনা রাইফেল ও ৩২০ রাউন্ড গুলি এবং আনসারের চারটি শর্টগান ও ৩৫ রাউন্ড গুলি লুট করেছে।'

ঘটনাটি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

Comments