কেএনএফ প্রতিষ্ঠাতা নাথান বমের স্ত্রীসহ দুজনকে রুমা থেকে বদলি 

নাথান বমের স্ত্রী লাল সং কিম রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘসময় ধরে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনার পেছনে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফকে দায়ী করা হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে।

এর মধ্যেই কেএনএফের প্রতিষ্ঠাতা নাথান বমের স্ত্রী রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স লাল সম কিম বমকে বদলি করা হয়েছে। 

এছাড়া একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মী দিপালী বারৈকেও বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'নার্সিং ও মিড ওয়াইফারি অধিদপ্তরের একটি বদলির আদেশ পেয়েছি। রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স লাল সং কিম বমকে লালমনিরহাট জেনারেল হাসপাতাল ও দিপালী বারৈকে লালমনিরহাটে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছে।'

লাল সং কিম এখানে দীর্ঘসময় ধরে কর্মরত ছিলেন উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'লাল সম কিম কেএনএফের অন্যতম প্রধান নাথান বমের স্ত্রী।'

চলতি মাসের শুরুতে ১৬ ঘণ্টায় ৩ ব্যাংকে ডাকাতি ও এক ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণের পর সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চলছে রুমা-থানচিসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

অভিযানে রুমা থেকে আজ আরও এক নারীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তারা হলেন-লাল রিন তোয়াং বম (২০), ভান নুয়াম থাং বম (৩৭) ও ভান লাল থাং বম (৪৫)। তারা সবাই রুমা সদর ইউনিয়নের ইডেন পাড়ার বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ ডেইলি স্টারকে জানান, রুমায় ব্যাংক ডাকাতির সময় অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের মামলায় গ্রেপ্তার নারীসহ ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে রুমার সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলায় এ পর্যন্ত ১৮ নারীসহ ৫৮ জনকে থানচি ও রুমা থেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর হয়েছে।

এর আগে, গত ৭এপ্রিল কেএনএফের কেন্দ্রীয় কমিটির 'অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক' ও নাথান বমের আত্মীয় চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Comments