বাংলাদেশ

রূপগঞ্জে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১২

বেতন-বোনাসের দাবিতে রূপগঞ্জের এসিএস টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে।
শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অন্তত ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বেতন-বোনাস দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পোশাক শ্রমিকরা।

এ সময় পুলিশ ও শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশসহ অন্তত ১২ আহত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জের এসিএস টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে।

এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অন্তত ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। রাত ৮টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ১০টা পর্যন্ত সড়ক যানজট মুক্ত হয়নি।

শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

শ্রমিকরা জানান, গত প্রায় ৪ মাস ধরে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ঠিকমতো দিচ্ছে না। কথা ছিল ঈদের আগে শ্রমিকদের সব পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার কারখানায় আসার পর শ্রমিকরা জানতে পারেন মালিকপক্ষ বেতন-ভাতা না দিয়েই ছুটি ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

পরে তারা বৃহস্পতিবারের মধ্যে বেতন বোনাস পরিশোধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন।

প্রায় বিশ মিনিট সড়ক অবরুদ্ধ থাকার পর শিল্প পুলিশ ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের রোববার বেতন বোনাস পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করে। 

তখন শ্রমিকদের একাংশ সড়ক ছেড়ে দিলেও, কারখানার ভেতরে আরেক দল শ্রমিক অবস্থান নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেন। 

সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা মহাসড়কে এসে কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে। 
এ সময় পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে, তারা ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। 

এ সময় অন্তত ১১ শ্রমিক ও একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহত হন।

অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, রোববার শ্রমিকদের বেতন ও সোমবার বোনাস দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎই কিছু শ্রমিক সড়ক অবরোধ করে। শ্রমিকদের উত্তেজিত করে তোলার পেছনে কারখানার বাইরের একটি পক্ষ উস্কানি দিয়েছে।'

এই ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য জানতে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আলী আশ্রাফ মোল্লা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের জন্য বিক্ষোভ করলে যানজট তৈরি হয়। আমরা সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছি।'

Comments