মুন্সীগঞ্জে ৩৬ কেজির বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার

পুরান অনুসারে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান তিন দেবতাদের একজন শ্রী বিষ্ণু তার অসীম ক্ষমতা দিয়ে এই পৃথিবীকে রক্ষা করেন এবং এখানকার জীবকূলকে লালন করেন।
উদ্ধারকৃত বিষ্ণুমূর্তি। ছবি: স্টার

মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপালে এক কৃষকের কাছ থেকে ৩৬ কেজি ওজনের একটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রামপালের দালালপাড়া এলাকায় ফসলি জমির পাশের রাস্তা থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।

হাতিমারা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক অমর চন্দ্র দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে মূর্তিটি পুলিশ হেফাজতে আছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উদ্ধারকৃত মূর্তিটির ওজন ৩৬ কেজি। তবে এটি কষ্টিপাথরের তৈরি কি না, সে ব্যাপারে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বলেও জানান অমর।

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ভবতোষ চৌধুরী নুপুর বলেন, শহরের কালীবাড়ি মন্দিরেও এমন দুটি ব বিষ্ণুমূর্তি রয়েছে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান তিন দেবতা হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বর। ধারণা করা হয়, শ্রী বিষ্ণু তার অসীম ক্ষমতা দিয়ে এই পৃথিবীকে রক্ষা করেন এবং এখানকার জীবকূলকে লালন করেন। তাই বিষ্ণুকে নানা অবতারূপে পুজো করে থাকেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।

পুরান অনুসারে, ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের মধ্যে ব্রহ্মা হলেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা। অনেকের মতে, ব্রহ্মা আবির্ভূত হয়েছেন নিজে নিজেই। আবার অনেকের ধারণা, বিষ্ণুর নাভিপদ্ম থেকে ব্রহ্মার উত্‍পত্তি।

দেবতা বিষ্ণুর মোট চারটি হাত। এই চার হাতে রয়েছে শঙ্খ, সুদর্শন চক্র, গদা ও পদ্ম। এগুলোই তার শক্তির প্রতীক। এক্ষেত্রে বিষ্ণুর অসীম জ্ঞানের প্রতীক হলো পদ্ম। আর সুদর্শন চক্র ধর্মের প্রতীক, শঙ্খ যুদ্ধের প্রতীক এবং গদা অশুভ শক্তিকে নাশের প্রতীক।

Comments