'এতদিন নির্ঘুম রাত কেটেছে, আজ মুক্তির আনন্দেই রাত জেগেছি'

জাহাজের মালিক কর্তৃপক্ষসহ সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান লুৎফা আরা। 
এমভি আব্দুল্লাহ। ফাইল ছবি সংগৃহীত

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বাংলাদেশি জাহাজ এমডি আব্দুল্লাহ অপহরণের পর থেকে ২৩ নাবিকের পরিবারের সদস্যরা প্রায় প্রতিটি রাত কাটিয়েছেন উদ্বেগ উৎকণ্ঠায়।

আজ ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে মুক্তির খবর শোনার পর বাকি রাত জেগেই কাটালেন সবাই। পার্থক্য হলো, এই রাতটি কেটেছে স্বস্তিত। 

এই জাহাজের নাবিক আইনুল হক। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় তিনি। তার বিধবা মা লুৎফা আরা গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রত্যেকটা রাত দুশ্চিন্তায় উদ্বেগে কাটাতেন। দুবার ভীষণ অসুস্থ ও হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ডাক্তারের পরামর্শে ঘুমের ওষুধ খেয়েও ঘুম আসত না। ছেলের জন্য চিন্তায় রাতভর নামাজ দোয়া পড়তেন। গতরাত আড়াইটা সময় তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে শুয়ে পড়েছিলেন তিনি। 

'ঈদের পর গত দুদিন ছেলের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। চিন্তা আরও বেড়ে গিয়েছিল। রাত সাড়ে ৩টার কিছু সময় পর ছোট ছেলে আমাকে জাগায়। বলে, "মা সুখবর আছে। ভাইয়াদের জাহাজ দস্যুমুক্ত হয়েছে।" এরপর থেকে মা-ছেলে আর ঘুমাইনি। ছেলে ফিরে আসছে তাই খুশির রাজ শেষ নেই। ছেলের সাথে কথা হয়েছে সে ঠিক আছে,' বলেন তিনি। 

জাহাজের মালিক কর্তৃপক্ষসহ সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান লুৎফা আরা। 

জাহাজে থাকা আরেক নাবিকের স্ত্রী জান্নাতুলও জানালেন একই কথা। বললেন, দস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যাওয়ার পর নাবিকরা অনেক আনন্দ করেছে। তারাও সারারাত আর ঘুমায়নি। 

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

53m ago