সুজানগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার সুজানগরে দুই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সংঘর্ষে চার পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভাইনা ইউনিয়নের কালিরমোড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব ও শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জালাল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামানের কয়েকজন সমর্থক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা একই স্থানে অবস্থান নেয়।

পরে দুই পক্ষ এক অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

ওসি মো. জালাল উদ্দিন বলেন, 'সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়।'

এতে স্থানীয় বাদশা প্রামানিক (৪০), মতিন শেখ (৫০) ও আব্দুল আউয়াল (৩৫) গুলিবিদ্ধ হলে তাদের সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

তাদের মধ্যে আউয়াল চেয়ারম্যান প্রার্থী ওহাবের সমর্থক এবং বাদশা ও মতিন শাহীনের সমর্থক বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার এক সমর্থক রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকরা অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।'

অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে শাহীনুজ্জামানকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

যোগাযোগ করা হলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

6h ago