মিয়ানমারের বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ

বিস্ফোরণের শব্দ টেকনাফে
মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু শহরের আগুন গতকাল টেকনাফ থেকে দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত

সীমান্তে নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আসা মর্টার শেল ও বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা।

বিস্ফোরণের শব্দ এবং নদীর ওপারে কালো ধোঁয়া দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নাফ নদী তীরবর্তী উপজেলার বাসিন্দারা।

টেকনাফের উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত দুই দিন ধরে বিস্ফোরণের শব্দ তীব্রতর হচ্ছে।

'আজও টেকনাফ থেকে মর্টার শেল ও বোমার বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে এবং এর তীব্রতার কারণে মানুষ নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছে', বলেন তিনি।

তবে গতকাল টেকনাফ পৌর এলাকা থেকে ওপারের ঘন কালো ধোঁয়া দেখা গেলেও আজ কোনো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে না বলে জানান চেয়ারম্যান নুরুল আলম।

তিনি জানান, টেকনাফ উপজেলার উল্টোদিকে অবস্থিত মংডু ও এর সংলগ্ন এলাকায় মিয়ানমারের জান্তা সেনা ও আরাকান আর্মির মধ্যে লড়াই চলছে।

তিনি আরও বলেন, রাখাইনে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা এই তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে এমন কোনো তথ্য তিনি জানেন না।

রোববার দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, শুক্রবার রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলীয় মংডু টাউনশিপে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একটি সদর দপ্তর দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি।

এতে আরও বলা হয়, কিছু জান্তা সেনা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে এবং শুক্র ও শনিবার দেশটির সরকার মংডু, বুথিডাং এবং পাউকতাউ শহরে বিমান ও গোলা হামলা চালিয়েছে।

মিয়ানমার জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষে শনি ও রোববার নাফ নদী হয়ে টেকনাফে আরও ১২৮ সশস্ত্র মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য আশ্রয় নিয়েছে।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই জান্তা সরকারের সেনা ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত তীব্র হয়। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আক্রমণের তীব্রতার কারণে জান্তা সেনাদের অনেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আরাকান আর্মি বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন রাখাইন রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা দখলে নিয়েছে এবং রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় লড়াই চলছে।  

Comments

The Daily Star  | English

Ishraque's supporters padlock Nagar Bhaban

Protesters began gathering around 9:00am, blocking the main gate and occupying nearby roads

50m ago