রাখাইনে সহায়তা পাঠাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন: জাতিসংঘ মুখপাত্র

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পাঠানোর আগে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার—উভয় দেশের সরকারের সম্মতি প্রয়োজন।

আজ সোমবার বাংলাদেশে জাতিসংঘের এক মুখপাত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এ কথা বলেন।

মুখপাত্র বলেন, 'জাতিসংঘের আইনি বাধ্যবাধকতা আছে যে, সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের অনুমতি ছাড়া সীমান্ত পেরয়ে কোনো মানবিক সহায়তা পাঠানো যাবে না।'

'এই অনুমতি না পেলে, এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত,' বলেন তিনি।

গত রোববার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোর খোলার জাতিসংঘের প্রস্তাবে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।

তবে এক্ষেত্রে সরকারের কিছু শর্ত আছে উল্লেখ করলেও, বিস্তারিত বলেননি তিনি।

এরপর বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

এদিকে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষে রাখাইনে হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং সেখানে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এ অবস্থায় বাংলাদেশে রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ এখনো অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। 

সবমিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে অন্তত ১৩ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটরের মুখপাত্র বলেন, 'বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছে জাতিসংঘ। রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।'

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশ যেন রোহিঙ্গাদের চাপ মোকাবিলা করতে পারে, সেজন্য জাতিসংঘ ও সহযোগীরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা পেতে কাজ করছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

‘For 15 years I fought for BNP leaders and activists, today they pushed me’

Rumeen Farhana says she was almost knocked down during clash at EC over Brahmanbaria boundaries

2h ago