‘গত বছর তিনবার ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল বাংলাদেশে’

গত বছর বাংলাদেশে তিন দফায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে এ সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

ডিজিটাল পরিসরে মানবাধিকার বিষয়ে সক্রিয় এই সংস্থাটির নাম 'এক্সেস নাউ'। তারা বলেছে, বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার প্রত্যেকটি ঘটনার উদ্দেশ্য ছিল বিরুদ্ধমত দমন করা।

'সংকোচনশীল গণতন্ত্র, ক্রমবর্ধমান সহিংসতা' শীর্ষক সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহিংসতার হাতিয়ার হিসেবে এই ক্ষমতা ব্যবহার করেছে।

গত বছর ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ১১৬টি ঘটনা ঘটেছে ভারতে। তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে আছে দেশটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাকস্বাধীনতা হরণ, অতিপ্রয়োজনীয় তথ্য প্রাপ্তিতে বাধা তৈরি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ ঢাকতে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ঘটনা ঘটেই চলেছে। সেই সঙ্গে ইন্টারনেটে যেসব প্লাটফর্মে সরকারের সমালোচনা হয় সেই প্লাটফর্মগুলো বন্ধ করে দেওয়ারও ঘটনা ঘটছে।

এতে বলা হয়েছে, জাতীয় গুরুত্ব আছে এমন ঘটনা যেমন: নির্বাচন, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রতিবাদ সমাবেশের সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। তথ্য প্রবাহে বিঘ্ন ও বিরুদ্ধমত নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটা করা হয়েছে।

ইন্টারনেট বন্ধ রাখার মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি করার পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকারগুলো নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে এটা করেছে যা স্পষ্টভাবে মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে টানা পাঁচ বছর বা তার বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ঘটনা ঘটেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Polytechnic students block Tejgaon road over six-point demand

The blockade has caused a long tailback on roads in the neighbouring areas.

7m ago