মৌসুমেও ইলিশের দেখা নেই

বরিশাল পোর্ট রোড পাইকারি মাছ বাজার। ছবি: টিটু দাস/ স্টার

চলছে ইলিশের মৌসুম। তারপরও বরিশালের বাজারগুলোতে ইলিশের দেখা মিলছে না।

মৎস্যজীবীরা বলছেন, দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর তারা তেমন কোনো ইলিশ পাচ্ছেন না। ফলে সাগরে গিয়ে, তাদের খরচও উঠছে না।

ইলিশ না পাওয়ার জন্য বৃষ্টি না হওয়াকেই দায়ী করছেন তারা।  

অন্যদিকে মৎস্য বিভাগ বলছে, একটানা তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নাও হতে পারে।

বরিশাল পোর্ট রোডের হাওলাদার মৎস্য ট্রেডার্সের ম্যানেজার নুরুজ্জামান বলেন, 'নদীর মাছ একেবারে নেই। তবে সমুদ্র থেকে অল্প কিছু মাছ পাওয়া যাচ্ছে। মাছের অবস্থা ভালো না হওয়ায় দাম কিছুটা  কম। নদীর ইলিশ তেমন না থাকায় দামও খুব চড়া ।

তিনি জানান, সমুদ্রে ধরা ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মণ ২৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে স্থানীয় নদীর এক কেজি ওজনের প্রতি মণ মাছ ৯৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ভোলার স্থানীয় জেলে মিঠু মাঝি জানান, তারা নদীতে মাছ না পেয়ে, সমুদ্রে নৌকা চালিয়ে কিছু মাছ পেয়েছেন।

তিনি বলেন, সমুদ্র থেকে ধরা ৪০ মণ মাছ নিয়ে আজ বিকেলে বরিশালে পৌঁছাবেন তারা।

ভোলা সদরের আলাউদ্দিন মাঝি জানান, নদীতে গিয়ে খরচ  না ওঠায়, তারা এই মুহূর্তে নদীতে মাছ ধরতে নামছেন না। গরম কমলে আর বৃষ্টি হলেই আবার মাছ ধরতে যাবেন।

পোর্ট রোডে ইলিশের পাইকারি মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে ১০০ মণেরও কম মাছ উঠেছে। অথচ স্বাভাবিক সময়ে এই সময় অন্তত হাজার মণ মাছ থাকার কথা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস জানান, এবার অত্যন্ত গরম থাকায়, ইলিশ পেতে সমস্যা হচ্ছে। এর ফলে ইলিশ আহরণের টার্গেট, ৫ দশমিক ৭৯ লাখ টন পূরণ নাও হতে পারে। এছাড়া ইলিশ কম পাওয়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনও একটি কারণ হতে পারে।

তিনি বলেন, সাধারণত ইলিশ ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রার ওপরে হলে পানির নিচ থেকে ওপরে আসে না।

তিনি বলেন বরিশালের বাজারে, এখন ইলিশ মাছের সরবরাহ অত্যন্ত কম। ১৪০ জন পাইকারি ইলিশ ব্যবসায়ীর কাছে ২০০ মণ মাছও হবে না।

Comments

The Daily Star  | English

$1b a year needed to hit 2030 green energy goal

Bangladesh needs to expand its renewable energy capacity by 21 percent annually to meet its latest green energy target by 2030, requiring nearly $1 billion in yearly investment, according to a study by the Institute for Energy Economics and Financial Analysis (IEEFA).

13h ago