'সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ২৯ শতাংশ নারী'

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে বর্তমানে ২৯ শতাংশ নারী কাজ করছেন। তিনি জানান, সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদ ১৯ লাখ ১৫১টি। এরমধ্যে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি।
সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'বিএসআরএফ সংলাপ'-এ বক্তব্য দেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে বর্তমানে ২৯ শতাংশ নারী কাজ করছেন। তিনি জানান, সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদ ১৯ লাখ ১৫১টি। এরমধ্যে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'বিএসআরএফ সংলাপ' এ অংশ নিয়ে এই তথ্য জানান মন্ত্রী। 

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে নারীরা কেন পিছিয়ে পড়ছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৮৪ জন সচিবের মধ্যে ১১ জন নারী। অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৭৫ জন, যুগ্ম সচিব রয়েছেন ১৬৪ জন, উপ-সচিব রয়েছেন ৩৯৪ জন।

তিনি বলেন, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ৬৫৮ জন। এছাড়াও ৬৪ জেলার মধ্যে ডিসি হিসেবে ৭ জন নারী এবং ইউএনও হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ১৫১ জন নারী। এসিল্যান্ড হিসেবে ৮৮ জন কর্মরত হয়েছেন। একজন বিভাগীয় কমিশনার রয়েছেন নারী।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, বিগত ১০ বছরে ১ থেকে ৯ গ্রেডের ৩৫১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। এরমধ্যে গুরুদণ্ড পেয়েছেন ৪১ জন, লঘুদণ্ড পেয়েছেন ১৪০ জন। সবমিলিয়ে শাস্তি পেয়েছেন ১৮১ জন। আর ১৭০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

পদোন্নতির ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করেই পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়। আমাদের এখানে একটা শৃঙ্খলা চলে এসেছে।

তিনি বলেন, যখন আমরা পদোন্নতি দেই একটা প্রশ্ন আসে, পদের চেয়ে পদোন্নতির সংখ্যা বেশি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আমাদের অনেক কিছু খেয়াল করতে হয়। বেশ কিছু কর্মকর্তা বিদেশে পড়াশোনা করতে যান। সরকারের বিভিন্ন স্কলারশিপের অধীনে তারা যান। বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরতদের বিষয়েতো রয়েছেই। কিছু মানুষ আছেন যারা অসুস্থ থাকেন। এদের বাদেই আমাদের কিন্তু (হিসাব) করতে হয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন পদে যখন পদোন্নতি দিচ্ছি তখন কিন্তু যৌক্তিক কারণেই পদের চেয়ে বেশি দিতে হয়। ছয় মাসের মধ্যেই বেশ কিছু কর্মকর্তা পিআরএলে চলে যাচ্ছেন। তারপর আমাদেরকে বেশকিছু রিজার্ভে রাখতে হয়। কারণ কেউ অসুস্থ হলে তার জায়গাটি পূরণ করা।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ-এর সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

Comments