‘মুসলিম বিশ্ব একতাবদ্ধ ভূমিকা পালন করলে অচিরেই ফিলিস্তিন স্বাধীনতা অর্জন করবে’

'বিশ্ব মানবতার জন্য ইসরায়েল একটি বিষফোঁড়া। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তারা ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি নির্দয় আচরণ করে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে তা চরম সীমায় উপনীত হয়েছে।'
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বিএমএ ভবনের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে 'ইসরাইলি দখলদারিত্ব: মুক্তির লড়াই এবং আজকের বাস্তবতা' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের বক্তারা এ কথা বলেন।
আল কুদস কমিটি বাংলাদেশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকটির আয়োজন করে আল কুদস কমিটি বাংলাদেশ। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আল কুদস কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ কাউছার মুস্তাফা আবুলউলায়ী।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, ১৯৪৮ সালে ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রে মধ্যপ্রাচ্যে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল সৃষ্টি করা হয়। বিশ্বমানবতার জন্য এটি একটি বিষফোঁড়া।
তারা আরও বলেন, গত বছর অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে তারা ৩৪ হাজারের বেশি নারী, পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করেছে এবং হাজার হাজার মানুষকে আহত করেছে। বসতভিটা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে তাদেরকে উদ্বাস্তুতে পরিণত করেছে। এমনকি তাদের কাছে ত্রাণসামগ্রীও পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে।
বক্তারা বলেন, এ অবস্থায় বিশ্বের মানবতাকামী মানুষ জেগে উঠেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সর্বস্তরের জনগণ ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন ও ইসরাইলের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য প্রতিবাদ করে যাচ্ছে। এর বিপরীতে মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ দেশ, বিশেষ করে আবর দেশগুলো নীরবতা অবলম্বন করে যাচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক। কেবল ইয়েমেন, লেবানন, ইরাক, ইরান এ ক্ষেত্রে হামাসকে সব ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। আর এ কারণে মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যেও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যদি মুসলিম বিশ্ব সব ধরনের বিভেদ ভুলে একতাবদ্ধভাবে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারে, তাহলে ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলন আরও বেগবান হবে এবং অচিরেই ফিলিস্তিন স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠানের এডিটর সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আহসানুল হাদী, ইসলামি ঐক্য আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা রুহুল আমীন, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর আহমাদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ঢাকা ব্রিলিয়ান্ট স্কুলের প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন খান, ড. মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমান, শায়েখ উসমান গনি প্রমুখ।
বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন আল কুদস কমিটি বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান।
Comments