ঢাকার হাটে চুয়াডাঙ্গার ‘সুপার ব্ল্যাক গোল্ড’, কুষ্টিয়ার ‘বীরবাহাদুর’

‘সুপার ব্ল্যাক গোল্ড’। বিক্রেতার দাবি গরুদুটি আনা হয়েছে ভারতের চেন্নাই থেকে। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

চুয়াডাঙ্গা থেকে ১২টি গরু নিয়ে ঢাকার গাবতলী হাটে এসেছেন জিয়াউর রহমান। এর ভেতর দুটি গরুর দাম হাঁকছেন ৬০ লাখ টাকা। ওই গরু দুটির একই নাম—'সুপার ব্ল্যাক গোল্ড'।

দশাসই চেহারার সঙ্গে গায়ের কালো রঙই যে এমন নামকরনের কারণ, সেটা বুঝতে কষ্ট হলো না।  

আজ দুপুরে বিক্রেতা জিয়া জানালেন, শুরুর দিকে বলে দাম একটু বেশি হাঁকলেও ৩০ লাখের বেশি দাম পেলেই গরু দুটি বিক্রি করবেন তিনি। এখন পর্যন্ত গরু দুটির দাম ২৫ লাখ পর্যন্ত উঠেছে।

জিয়ার কাছে থাকা অন্য গরুগুলোর দামও নেহাত কম নয়। এর ভেতর সবচেয়ে কম দাম যেটির, সেটাও চার লাখ টাকার।

এখানেই দেখা মিলল কুষ্টিয়ার 'বীর বাহাদুরের'। বিক্রেতা দাম চাইলেন ২২ লাখ টাকা।

কুষ্টিয়ার ‘বীর বাহাদুর’। দাম হাঁকা হচ্ছে ২২ লাখ টাকা। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

আগামী ১৭ জুন ঈদকে সামনে রেখে এবার রাজধানীতে ২০টি পশুর হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন।

এরমধ্যে গাবতলীর মতো বেশ কিছু হাটে বিক্রি শুরু হয়েছে। কিন্তু এই সংখ্যা খুব বেশি নয়। এই হাটগুলোতে পশুর সংখ্যা অনেক হলেও সে তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা কম আর দাম চড়া।

তবে বিক্রেতাদের প্রত্যাশা আগামীকাল শুক্রবার থেকেই পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে।

গতকাল দিয়াবাড়ির হাটে কথা হয় গরু ব্যবসায়ী বাধনের সঙ্গে। কুষ্টিয়া থেকে ছোট আকারের ১০টি গরু এনেছেন তিনি। এর প্রতিটির দাম চাচ্ছেন এক লাখ টাকা করে।

বাধন জানান, গত তিন বছর ধরে ঢাকায় গরু বিক্রি করতে এসে পাঁচ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে তার। এবারও যদি সেটা হয় তাহলে ঋণ পরিশোধের জন্য তাকে জমি বিক্রি করতে হবে। তবে ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় এ বছর কিছু লাভের আশা করছেন তিনি।  

কুষ্টিয়া থেকে দিয়াবাড়ি পশুর হাটে চারটি গরু নিয়ে আসা জামাল হোসেনও একই কথা বলেন।

এদিকে কচুক্ষেত হাটে ৪০টি গরু নিয়ে আসা আবুল কাশেম জানালেন, ঢাকা পর্যন্ত গরুগুলো নিয়ে আসতে তাকে আট লাখ টাকা ঋণ করতে হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিক্রি তেমন হয়নি।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের এভারেস্ট ডেইরি অ্যান্ড অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক মুসা ইব্রাহিম এবার কোরবানির জন্য ৯০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা দামের ৫০টি ষাঁড় পেলেছিলেন তিনি। এর মধ্যে ২৫টিই বিক্রি হয়ে গেছে। এই খামারির ভাষ্য, গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এ ব্যবসায় মুনাফা করা কঠিন। তিনি বলেন, 'একটি বড় আকারের ষাঁড়ের জন্য বছরে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করতে হয়।'

Comments

The Daily Star  | English

Drug smuggling via air, land routes on the rise

This grim picture emerges as Bangladesh, like other countries around the world, observes the International Day Against Drug Abuse and Illicit Trafficking today.

14h ago