সেন্টমার্টিনে বিবর্ণ ঈদ

সেন্ট মার্টিন। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে নৌযান চলাচল বন্ধ। দ্বীপে আনা যায়নি পর‌্যাপ্তসংখ্যক কোরবানির পশু। তিন দিন আগে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের পাহারায় এখানকার বাসিন্দাদের জন্য চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য পাঠানো হলেও দ্বীপের ১০ হাজার মানুষের জন্য তা যথেষ্ট না। ফলে এখনো নিত্যপণ্যের মূল্য এখানে আকাশছোঁয়া।

এমন পরিস্থিতিতে একটি বিবর্ণ ঈদ কাটাচ্ছেন বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা।

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মিয়ানমারের উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত সেন্টমার্টিন। কয়েক দিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে এই নৌপথে চলাচলকারী সার্ভিস ট্রলার ও স্পিডবোট লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের পর থেকে স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তার জন্য নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, পশু সংকটের কারণে গতবারের তুলনায় এবারের ঈদে  দ্বীপবাসী অর্ধেক গরু কোরবানি দিয়েছেন।

এই জনপ্রতিনিধি বলেন, 'টেকনাফে অনেকেই কোরবানির পশু কিনেছেন। কিন্তু নৌ চলাচল বন্ধ থাকার কারণে দ্বীপে নিয়ে আসতে পারেননি। তাই ওই কেনা গরুগুলো কেউ কেউ ১০-২০ হাজার টাকা লোকসানে বিক্রি করে দিয়েছেন।'

সংকটের ভেতর কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাওয়া পাঁচটি গরু কোরবানি করা হয়েছে বলেও জানান মুজিবুর রহমান। এই কোরবানির মাংস দ্বীপের ৩০০ প্রান্তিক মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

দ্বীপের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলছেন, সংকটের ভেতর কোরবানির পশুসহ জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দামের কারণে আগে যারা ভাগে কোরবানি দিতেন, তারাও এবার কোরবানি দিতে পারেননি।

দ্রুত নৌচলাচল স্বাভাবিক না হলে দ্বীপবাসীর দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন জয়নাল।  

 

Comments

The Daily Star  | English
Former president Hamid airport CCTV footage

The story of Hamid’s exit

Further details regarding the exit of former president Mohammed Abdul Hamid suggest he breezed through the airport before quietly departing for Thailand.

10h ago