কোটি টাকার বিল বকেয়া, চমেকের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন

তবে ‘রোগীদের স্বার্থে’ কলেজ সংলগ্ন হাসপাতালের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।
ছয় মাসের বিল বকেয়া থাকায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ (পিডিবি)।
এই মুহূর্তে বিদ্যুৎহীন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের একটি কক্ষ। ছবি: স্টার

ছয় মাসের বিল বকেয়া থাকায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ (পিডিবি)।

আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে মেডিকেল কলেজের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও হাসপাতালের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলছেন, 'বারবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও ছয় মাসের বিল পরিশোধ না করায় আমরা চমেকের অ্যাকাডেমিক ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি।' 

ক্যাম্পাসে কলেজ ও হাসপাতালের জন্য আলাদা দুটি সংযোগ আছে জানিয়ে এই প্রকৌশলী বলেন, 'দুটি সংযোগের জন্য মোট ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা বকেয়া আছে। এর মধ্যে চমেকের সংযোগে বকেয়া আছে ৬০ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।'

রোগীদের স্বার্থে হাসপাতালের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি বলেও মন্তব্য করেন হুমায়ুন কবির। 

যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন বলেন, 'হাসপাতালের সংযোগ ঠিক থাকায় রোগীদের চিকিৎসায় কোনো ব্যাঘাত হচ্ছে না।'

বকেয়া বিল পরিশোধ না করার বিষয়ে তসলিম উদ্দিনের ভাষ্য, বার্ষিক বাজেটে সংকুলান না হওয়ায় সময়মতো বিল পরিশোধ করতে পারেনি তারা। বিল পরিশোধে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. হাফিজুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

তবে একাধিকবার ফোন করা হলেও অধ্যক্ষ ডা. শাহেনা আক্তার ফোন ধরেননি।

এর বাইরে বিল বকেয়া থাকায় পূর্বাঞ্চলীয় রেলের প্রধান দপ্তর চট্টগ্রামের সিআরবি ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে পিডিবি।

পিডিবি কর্মকর্তারা বলছে, বকেয়া বাবদ পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের কাছে পিডিবির পাওনা ২ কোটি ১২ লাখ টাকা।

Comments