রেলের চাকরিতে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা কেন, হাইকোর্টের রুল

রেল ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট

বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৪ থেকে ২০ গ্রেডের চাকরিতে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখার বিধানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত রেলওয়ের নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ এর ৩ (ক) ও (খ) ধারাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তার কারণ জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেছেন আদালত।

একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। 

বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রেলের নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী, ১৪ থেকে ২০ গ্রেড পর্যন্ত চাকরিতে শূন্য পদে ৪০ শতাংশ পদ পোষ্য কোটার জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে এবং যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে।

এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান এ বছরের ২৬ মে একটি রিট আবেদন করেছিলেন।

আবেদনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিজস্ব সুবিধার জন্য রেলের কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে বিধান করেছে, যা কোটা বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের কারণে সমাজের অনগ্রসর অংশ, যেমন দিনমজুর, রিকশাচালক, কৃষকদের সন্তানদের প্রতি বৈষম্য হবে এবং তাদের সরকারি চাকরির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

আজ শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

Comments