‘তারা কেন আমার ছেলেকে মারল?’

রাকিবের মৃত্যুতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বজনদের আহাজারি। ছবি: নাজনীন আখতার/ প্রথম আলো

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গের মেঝেতে বসে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন হাসি আক্তার। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকে কাতর তিনি। ক্রমাগত কাঁদতে কাঁদতে শুকিয়ে গেছে চোখের পানিও।

গত শুক্রবার রামপুরায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে নিহত হন রাকিব (২৩)। ওই দিন সকালে শটগানের গুলিতে বিদ্ধ হন তিনি। তাৎক্ষণিক তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেলে চিকিৎসকরা রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন।

ছেলের মৃত্যুর পর আহাজারি করতে করতে হাসি আক্তার বলছিলেন, 'এখন আমরা কীভাবে বাঁচব? পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল আমার ছেলে। রাকিব কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। এমনকি সে তো ছাত্রও ছিল না। তাকে কেন তারা মারল?'

দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'রাকিব দৈনিক মজুরিতে গত সাত বছর ধরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কাজ করেছে। সাত মাস হলো তার চাকরি স্থায়ী হয়েছে।

তিন বছর আগে বিয়েও করেছে রাকিব।

এখন রাকিবের মা, দুই বোন ও স্ত্রীর কে দেখবে, তা জানেন না তারা।

Comments

The Daily Star  | English

KMP headquarters surrounded, gate locked over SI Sukanta's release

The protest programme will continue until SI Sukanta is arrested, said the demonstrators

24m ago