রংপুরে আবু সাঈদ হত্যায় অভিযুক্ত ২ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

বরখাস্ত এই দুই সদস্য পুলিশ লাইনে নজরদারিতে ছিলেন।
পুলিশের ছোড়া গুলির সামনে দাঁড়ানো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের রাবার বুলেটে নিহত হন সাঈদ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। 

তারা হলেন-এএসআই মো. আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। 

গ্রেপ্তারের পর তাদের পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন 

তিনি বলেন, 'এই দুই সদস্য পুলিশ লাইনে নজরদারিতে ছিলেন। আজ তাদের মহানগর পুলিশ গ্রেপ্তারের পর পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে।'

এদিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় গত ১৯ আগস্ট মামলা হয়। এই মামলায় আসামি এএসআই মো. আমীর হোসেন এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে ১৮ আগস্ট মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এবং গত ৩ আগস্ট এই দুই পুলিশ সদস্য এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে বরখাস্ত করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Army given magistracy power

In order to improve law and order, the government last night gave the power of magistracy to commissioned army officers for 60 days.

3h ago