আন্দোলনের মুখে অফিসে যান না বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউটের ডিজি

আশুলিয়ায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন, ইনসেটে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ। । ছবি: সংগৃহীত

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে গত কয়েকদিন ধরে অফিস করছেন না ঢাকার আশুলিয়ায় অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. সলিমুল্লাহ। 

প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে তারা পদোন্নতিতে বৈষম্য, নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও বাণিজ্য, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগে তারা আন্দোলন করছেন। 
কিন্তু মহাপরিচালক মো. সলিমুল্লাহ বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়ায় তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

আজ রোববার প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় শতাধিক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কর্মকর্তা ও কর্মচারী মহাপরিচালকের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছেন। এসময় মহাপরিচালক প্রতিষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন না।

প্রতিষ্ঠানটির অ্যানিমেল বায়োটেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকতা ড. জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মহাপরিচালক এখানে পদোন্নতির জন্য যে রেগুলার পদ সৃজন করা দরকার সেটা করতে পারেননি। পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্য করেছেন। কেউ এখানে নির্দিষ্ট সময়ে পদোন্নতি পাননি। তার (মহাপরিচালক) পছন্দের কয়েকজনকে অগ্রিম পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।'

ফিশারিজ বায়োটেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শাহদাত হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের মহাপরিচালক আগের সরকারের সঙ্গে সখ্যতা করে এখানে ১০ বছর ধরে দায়িত্বে আছেন। যেখানে সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ৬ মাসের বেশি সময় কেউ অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকতে পারে না।'

ড. শাহদাত আরও বলেন, 'উনি নিয়োগে বৈষম্য করেছেন, দুর্নীতি করেছেন। প্রশ্নফাঁস করে তার (মহাপরিচালক) স্ত্রীর শিক্ষার্থীদের এখানে নিয়োগ দিয়েছেন।'

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এনআইবির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, সেগুলো আমাদের মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে জানাচ্ছি। তিনি তাদের (আন্দোলনকারী) সঙ্গে কথা বলবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে আমি মাথা পেতে নেব।'

Comments

The Daily Star  | English

S Alam, associates laundered money thru shell firms

Mohammed Saiful Alam and his family have acquired vast wealth at home and abroad, using money siphoned off through loans taken in the name of front companies

10h ago