‘মধ্যপ্রাচ্যগামী শ্রমিকের জন্য ১ মাসের মধ্যে বিমানবন্দরে স্পেশাল লাউঞ্জ’

বক্তব্য রাখছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

বিমানবন্দরে মাসখানেকের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যগামী শ্রমিকদের জন্য স্পেশাল লাউঞ্জ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

আজ শনিবার বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় একাত্তর হলে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ বিষয়ে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এবং মালয়েশিয়ার পার্কেসোর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, 'মধ্যপ্রাচ্যে যেসব শ্রমিক ভাই-বোন যাচ্ছেন, তাদের জন্য বিমানবন্দরে আলাদা স্পেশাল লাউঞ্জের ব্যবস্থা করবো। আমরা ইতোমধ্যে জায়গা ঠিক করেছি, সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি মাসখানেকের মধ্যে হয়ে যাবে।'

তিনি বলেন, 'লাউঞ্জ হলে প্রবাসী শ্রমিক ভাই-বোনদের যন্ত্রণা অনেক লাঘব হবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য যে ভিআইপি সুবিধা সেগুলোও থাকবে। বিমানবন্দরে প্রবেশের মুহূর্ত থেকে প্লেনে ওঠার আগ পর্যন্ত যে লাউঞ্জ থাকে সেই পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে তাদের সঙ্গে একজন লোক থাকবে সহায়তার জন্য। আমরা মনে করি, এটি প্রবাসীদের প্রতি উদারতা নয়, এটি আমাদের দায়বদ্ধতা। এটি বহু আগে করা উচিত ছিল।'

আসিফ নজরুল বলেন, 'গতকাল মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এসেছিলেন বাংলাদেশে। তার সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রমিকদের কল্যাণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি ১৮ হাজার বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়াতে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।'

'এর মানে এই নয় যে নতুন কর্মী' উল্লেখ করে তিনি বলেন, '১৭ হাজারের কিছু বেশি কর্মীর সব কাগজপত্র ঠিক থাকা সত্ত্বেও মালয়েশিয়া সরকারের সময়সীমার মধ্যে সেদেশে যেতে পারেননি। নানা ধরনের জটিলতার কারণে তারা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। ৩১ মের মধ্যে তারা যেতে না পারায় মালয়েশিয়া সরকার তাদেরকে গ্রহণ করেনি। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের শ্রমিক ভাই-বোন অনেক টাকা দিয়েছিলেন। আমি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বলেছিলাম এই বিষয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য।'

তিনি বলেন, 'মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরুর আগে এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই ১৮ হাজার বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রতিশ্রুতি মানেই কিন্তু নিশ্চিত না। আমরা মালয়েশিয়ায় আমাদের হাইকমিশন ও আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই প্রতিশ্রুতি কার্যকর করতে যত দ্রুত সম্ভব প্রচেষ্টা চালাব। আজকে রাতে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে মিটিং আছে, সেখানে আমি বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবো, একটা রোডম্যাপ তৈরি করবো।'

'আমি বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনটি বিষয়ে আলোচনা করেছি। তার মধ্যে বলেছি, মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার পুনরায় চালু করার বিষয়ে। পাশাপাশি যে ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল রিক্রুটমেন্ট প্রসেস, সেটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। সব রিক্রুটিং এজেন্সি যাতে কাজ করতে পারে এবং প্রক্রিয়াটি যেন স্বচ্ছ হয়। তৃতীয়ত বলেছিলাম, কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করা যায় কি না,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Media freedom may turn into empty promise: TIB

The graft watchdog voices serious concerns over the state of press freedom in the country

1h ago