সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার তথ্য চায় সরকার

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার তথ্য চেয়েছে এ সংক্রান্ত সরকারি কমিটি।

'গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত কমিটি' গত ৭ অক্টোবর গঠিত হয়।

এ কমিটির প্রথম সভা শেষে আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার তথ্য চাওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির প্রথম সভার সিদ্ধান্ত যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেছে।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গত ১ জুলাইয়ের পর বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলার তথ্য পাঠাতে হবে।

কমিটির দেওয়া নির্দিষ্ট ছকে সাংবাদিকের নাম, পদবি ও সংবাদমাধ্যমের নাম-ঠিকানা, মামলার নম্বর ও তারিখ, মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও বর্তমান অবস্থা জানিয়ে ব্যক্তিগতভাবে বা সম্পাদকের সুপারিশসহ [email protected] ই-মেইলে আবেদন করা যাবে। 

অভিযুক্তের সাংবাদিকতার প্রত্যয়ন বা প্রমাণপত্র আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। 

আবেদনের ছক। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাংবাদিক বলতে প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪ অনুযায়ী সংবাদকর্মীদের বোঝাবে। অডিও-ভিজুয়াল এবং ডিজিটাল বা অনলাইন মিডিয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইন, বিধির (যদি থাকে) সংজ্ঞা প্রযোজ্য হবে অথবা ওই আইনের সংজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।

তবে, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্বের বাইরে ব্যক্তিগত দায় রয়েছে এমন কোনো মামলার তথ্য পাঠানো যাবে না বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন এসব মামলার সমালোচনা করে বলেছে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে এ ধরনের হত্যা মামলা আইনের অপব্যবহার ও মুক্ত সাংবাদিকতার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago