পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানযট

গাজীপুরের বাসন এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে টিঅ্যান্ডজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের পাঁচটি কারখানার পোশাকশ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে বোর্ড বাজার থেকে চান্দনা চৌরাস্তায় অন্তত সাত থেকে আট কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানযট দেখা গেছে।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা।
কারখানাগুলো হলো—টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড, বেসিক ক্লোথিং লিমিটেড, অ্যাপারেলস প্লাস ইকো, বেসিক নিটওয়্যার লিমিটেড ও অ্যাপারেল আর্ট লিমিটেড।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাজীপুর নগরের সালনা থেকে চান্দনা চৌরাস্তা ও ভোগরা বাইপাস হয়ে টঙ্গী পর্যন্ত দীর্ঘ সাত থেকে আট কিলোমিটারজুড়ে যানজট। বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা হেঁটেই তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন। বয়স্ক, শিশু ও নারীদের বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আন্দোলরত শ্রমিকরা জানান, গত তিন মাস ধরে তারা বেতন পাননি। মালিকপক্ষ কিছুদিন ধরে বেতন দেওয়ার কথা বললেও দিচ্ছে না।
ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে চলাচলকারী অনন্যা পরিবহনের বাসচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, 'চার ঘণ্টা ধরে যানজটে বসে আছি। বাসের যাত্রী সব নেমে গেছে। আমাদের গাড়ি কখন ছাড়বে জানি না।'
ইউনাইটেড বাসের যাত্রী মোহাম্মদ কামাল (৬৪) বলেন, ময়মনসিংহ থেকে ছেলের বাসা যাত্রাবাড়ীতে যাব। তবে চার ঘণ্টা ধরে জ্যামে বসে আছি। আমার শরীর অনেক খারাপ। আমি কিডনি ও হার্টের রোগী। যেকোনো সময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতে পারি।
চান্দনা চৌরাস্তায় ভিআইপি পরিবহনের চালক রায়হান মিয়া বলেন, দুপুর ১টা থেকে যাত্রী নিয়ে বসে আছি।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানান, গত এপ্রিল থেকে কারখানা বন্ধ ছিল। সেপ্টেম্বরে কারখানা খুললেও দুই মাসের বেতন না দিয়ে কর্তৃপক্ষ টালবাহানা করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বারবার বেতন পরিশোধের তারিখ দেওয়া হলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে সড়ক অবরোধ করতে হয়েছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন সন্ধ্যা ৬টার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সাত থেকে আট কিলোমিটারজুড়ে এখনো যানজট আছে।
শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেছি। একাধিকবার তারিখ দিয়েও মালিকপক্ষ বকেয়া বেতন পরিশোধ করছে না।'
Comments