৬৪ জেলায় সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত প্রতিনিধির দাবি নারীপক্ষের

ব্যালটে 'না' ভোটের বিধান যুক্ত করা, ৬৪ জেলার জন্য সরাসরি নির্বাচিত সংরক্ষিত নারী আসন রাখা ও ইহজাগতিক ও মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রকে ধর্ম থেকে পৃথক করাসহ বেশকিছু দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নারীপক্ষ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সমাজের বিভিন্ন অংশীজন সংস্কার কাজে এই দাবিগুলো বিবেচনায় রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির 'নারীর অধিকার ও মুক্তি: প্রত্যাশা ও করণীয়' শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। নারীপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো-রাজনৈতিক দলের প্রতি অনাস্থা প্রকাশে ব্যালটে 'না' ভোটের বিধান যুক্ত করা, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী তালিকায় এক তৃতীয়াংশ নারী এবং ৬৪ জেলার জন্য সরাসরি নির্বাচিত সংরক্ষিত নারী আসন রাখা, ইহজাগতিক ও মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রকে ধর্ম থেকে পৃথক করা, নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আইন সংস্কার করে নারীর পারিবারিক ও জনজীবনে সমঅধিকার নিশ্চিত করা যেমন-অভিন্ন পারিবারিক আইন, উত্তরাধিকার আইন, অভিভাবকত্ব, ক্ষতিপূরণ আইন ও নাগরিকত্ব আইন, নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে ও নারীর জীবন সহিংসতা মুক্ত করতে সব প্রকার আইন ও নীতিমালার পূর্ণ বাস্তবায়ন, যৌনকর্মীসহ অন্যান্য যে সকল বীরাঙ্গনা রয়েছেন তাদেরকে যথাযথ সম্মান ও রাষ্ট্রীয় সব সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
এ ছাড়া জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১১ হালনাগাদকরণ এবং জাতীয় ঔষধ নীতি ২০১৬ বাস্তবায়ন করা, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিমুক্ত করা এবং কমিটিতে জনসম্পৃক্ততা বিশেষ করে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, শ্রম-আইন সংশোধন করে অপ্রাতিষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতের কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া, জাতীয় পর্যায়ে গৃহীত জলবায়ু, বন ও পরিবেশ সংক্রান্ত নীতিমালা ও কৌশলগুলো পরিমার্জন করে কর্মসূচিতে লিঙ্গীয় সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের নির্দিষ্ট লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানায় নারীপক্ষ।
নারীপক্ষের সভানেত্রী গীতা দাসের সভাপতিত্বে এবং সদস্য মাহীন সুলতানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
Comments