পাহাড়ে শিশু-কিশোর শিল্প-সঙ্গ, প্রাণ-বস্তুর সঙ্গে মিতালি

চরাচরের চারধারে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিচিত্র সব প্রাণ ও বিবিধ বস্তুর সঙ্গে মিতালি গড়ে তোলার পাশাপাশি 'দেখার চর্চা ও চোখ তৈরিতে' পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে হয়ে গেল গঙ্গাফড়িং শিশু-কিশোর শিল্প-সঙ্গ ২০২৪।
গত ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর জেলার তৈইমাতই পাড়ায় অনুষ্ঠিত এ সফরে সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণের শিশু-কিশোর সংগঠন গঙ্গাফড়িং- এর বন্ধুদের শিল্প-সঙ্গ দেন শিল্পী অমল আকাশ।
শিল্প-সঙ্গের এই ভাবনা প্রসঙ্গে অমল আকাশ বলেন, 'পথে-পাহাড়ে, ঝিরি-জলে, গ্রাম কিংবা শহরে—যেখানেই আমরা সফর করিনা কেন, এর সবখানেই ছড়িয়ে থাকে আমাদের ভাবনা প্রকাশের প্রাণ-বস্তু। এই দেখাকে আমি আমার মতো করে শিল্প নাম দিয়েছি। এ দেখা অর্থাৎ পর্যবেক্ষণের একটা চর্চা থাকতে হয়, যত্ন নিতে হয়। আত্মীয়তা গড়তে হয় চরাচরের সকল প্রাণ-বস্তুর সঙ্গে। সেই প্রাণের পরশেই শিশুরা আনন্দ ও সুন্দরকে সাজিয়ে তোলে।'

দুই দিনের শিল্প-সঙ্গে গঙ্গাফড়িং বন্ধুদের সেই দেখার চর্চাটা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানান অমল আকাশ। ওই সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, 'পাহাড়ে ওরা নিজেরাই খুঁজে পেয়েছে একটা সাধারণ পাথরের বুকে পাখির গল্প, ঝরা পাতার ঝিরির জলমুখী গতির ছন্দ। পাহাড়ি ঝিরির শেওলার বুকে পৌঁছে যাওয়া প্লাস্টিকের বোতল দেখে এক বন্ধুর মনে হয়েছে, তা যেন প্রকৃতির হৃদয়কে কুরে কুরে খাচ্ছে। আরেক ছোট্ট বন্ধু চারপাশে নুড়ি সাজিয়ে জলমগ্ন গর্তের মাঝখানে পাথর বসিয়ে চোখের মনির আদল গড়ে তোলে। সেই চোখকে মনে হয়েছে তৈইমাতই পাড়ার চোখ।'

শিল্প-সঙ্গে অংশ নেওয়া বন্ধুদের মধ্যে ছিল—অচিন, কৃষাণ, হিয়া, বর্ণমালা, মাটি, স্বণন ও অ্যালমন।
গঙ্গাফড়িং- এর এ আয়োজনে সহযোগিতা করেন রকিন ত্রিপুরা ও সাহাদাত। অভিভাবক হিসেবে ছিলেন নাজমুল হাসান, অঞ্জন দাস, হেমিকা হায়দার ও পপি রানী সরকার।
Comments