ডিসপ্লেতে ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’ লেখা ওঠায় হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর

হাসপাতালের ডিসপ্লেতে ভেসে ওঠে ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সদর উপজেলার একটি হাসপাতালের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে 'আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু' লেখা ভেসে ওঠার জেরে ওই হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। 

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নোয়াখালী পৌর এলাকায় বেসরকারি সিটি হসপিটালে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, নোয়াখালী শহর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল ওয়াদুদ বাবলুর নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।

আজ বুধবার হাসপাতালের ম্যানেজার শাহাজাদা নাজিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে সিটি হসপিটালের প্রধান ফটকের ডিসপ্লেতে "আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু" লেখা ভেসে ওঠে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এলে ওই ডিসপ্লের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।'

'এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে গতকাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে নোয়াখালী পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুল ওয়াদুদ বাবলুর নেতৃত্বে যুবদল-ছাত্রদল-বিএনপির ৪০-প্রায় ৫০ নেতাকর্মী হাসপাতাল গেটে আসে। পরে যুবদল নেতা বাবলু ডিসপ্লেতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বলেন। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া মাত্র ডিসপ্লেতে ওই একই লেখা ভেসে ওঠে,' বলেন তিনি।

তিনি জানান, তখন নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। 

তবে ডিসপ্লেতে কীভাবে ওই লেখাটি আপলোড তা জানেন না বলে দাবি করেছেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপক শাহজাদা নাজিম।

পরে খবর পেয়ে সুধারাম থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলায় হাসপাতালের প্রধান ফটকের ডিজিটাল সাইনবোর্ড, ভেতরে অফিস কক্ষের আসবাবপত্র, এক্স-রে মেশিন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ওষুধের দোকান, একটি অ্যাম্বুলেন্স, একটি প্রাইভেটকারসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সুধারাম থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তাহের দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাসপাতাল ভাঙচুরের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল যায়। এ ঘটনায় সেনাবাহিনী আবদুল ওয়াদুদ বাবলু নামে একজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাকে আজ দুপুরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।'

যোগাযোগ করা হলে নোয়াখালী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাসপাতালের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে আওয়ামী লীগের প্রচারণার খবর পেয়ে বাবলুসহ কিছু নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে যায়। বাবলু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার সময় অতি উৎসাহী কিছু লোকজন হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনার সঙ্গে শহর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুল ওয়াদুদ বাবলু জড়িত নয়।'

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

8h ago