সচিবালয়ে যেতে বাধা, সড়কে অবস্থান চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের

পুনর্বহালের দাবিতে সড়কে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের অবস্থান। ছবিটি আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষাভবনের সামনে থেকে তোলা। ছবি: পলাশ খান/ স্টার

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে শিক্ষাভবনের সামনে তাদের আটকে দেয় পুলিশ।

বাধা পেয়ে সেখানেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

ছবি: পলাশ খান/ স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী জানান, সকালে ১১টার দিকে 'ভিকটিম পুলিশ পরিবার' ব্যানারে মিছিল নিয়ে শতাধিক মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে সচিবালয়ের দিকে তাদের দাবি জানাতে যেতে চাইলে শিক্ষাভবনের সামনে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।

এসময় সেখানে সড়কে তারা বসে পড়েন। চাকরি ফিরে পেতে বক্তব্য দেন তারা।

ছবি: পলাশ খান/ স্টার

এক প্রেস রিলিজে ভিকটিম পুলিশ পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত স্বৈরাচার আমলে অন্যায়ভাবে ২২০০ পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয় স্বৈরাচার সরকারের আমলে বাহিনীর বেশিরভাগ সিনিয়র কর্মকর্তা পুলিশ বাহিনীকে ভয়ংকর দানবে পরিণত করতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে চাকরিচ্যুত করেছে।

আজকে যখন গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরশাসক পালিয়ে গেছে তখন পুলিশ বাহিনীর কিছু পুরোনো দোসর আমাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার কথা দিয়েও টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ তাদের।

তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন মানবিক বিবেচনায় পুলিশ সদস্যদের পুনর্বহালের আদেশ দেওয়ার পরও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

চাকরিচ্যুত এ এস আই তৌহিদ মন্ডল বলেন, চাকরি যাওয়ার পর আমরা তো প্রত্যেকে জীবিত লাশ হয়ে বেঁচে ছিলাম। আমরা তো কোনো মারপিট করিনি, জ্বালাও পোড়াও করিনি, ভাঙচুর করিনি। আমরা ২ হাজার ভিকটিম পরিবার আছি। আমরা দুর্নীতিবাজ কিনা তদন্ত করে দেখেন। আমাদের বর্তমান অবস্থা দেখেন। কিছু পাবেন না। তাহলে আপনারা কিসের ভয়ে কার ভয়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিলেন স্যার।

তাদের দাবি, সব সুযোগ সুবিধাসহ তাদের যেন চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

10h ago