উপসচিব পদে ৫০ শতাংশ কোটা অগ্রহণযোগ্য: আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করেছে ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত 'আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ'।
উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বৈষম্যহীনতার প্রতিফলন ঘটেনি উল্লেখ করে তারা জানিয়েছেন, কমিশনের অস্পষ্ট রিপোর্ট ও জনবিরোধী প্রস্তাবগুলো প্রত্যাখ্যান করছি। একইসঙ্গে উপসচিব পদোন্নতির জন্য ৫০:৫০ কোটাকে অগ্রহণযোগ্য বলছেন তারা।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা তাদের অবস্থান তুলে ধরেন।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য উপস্থাপনকালে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক শওকত হোসেন মোল্যা বলেন, 'আমাদের আশঙ্কাই সঠিক হয়েছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের অস্পষ্ট রিপোর্ট ও জনবিরোধী প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছি।'
তিনি বলেন, 'জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে সব ক্যাডারের নামের সঙ্গে ক্যাডার শব্দটির পরিবর্তে সার্ভিস শব্দটি ব্যবহার করা হলেও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস শব্দটি ব্যবহার করে প্রশাসন ক্যাডারকে আরও বেশি ক্ষমতাধর করার চেষ্টা করা হয়েছে। সব ক্যাডারেই অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পদ রয়েছে।'
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্শাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ এবং বাকি ২৫ ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ দিয়ে হাস্যকর ও অযৌক্তিক প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। উপসচিব পদে কোনো কোটা মেনে নেয়া হবে না। কমিশনের এ প্রস্তাব সংশোধন করে শতভাগ সব ক্যাডারের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।'
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা মন্তব্যের কারণে বিভিন্ন ক্যাডারের বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তার শাস্তি প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়েছে এই পরিষদ। পরিষদ জানায়, 'আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে এসব অন্যায় বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদভুক্ত সব ক্যাডার কর্মকর্তারা কর্মবিরতিসহ ধারাবাহিক কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে।'
সংগঠনটির দাবি, 'প্রশাসন ক্যাডারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ থাকলেও, সে বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।'
Comments