ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে ফেললে নতুন আরেকটি বিপ্লব আপনাদের দেখতে হবে: সারজিস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসীদের বিলীন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি এই ক্লিন বাংলাদেশ অপারেশন দুই-একদিনের গ্রেপ্তার অভিযানের মতো হলে চলবে না। আগামী কিছুদিনের মধ্যে পুরো বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় গর্ত থেকে বের হয়ে রাজপথে যেই সন্ত্রাসীরা মাঝে মাঝে উঁকি দিচ্ছে তাদের সবাইকে জেলখানার ভেতরে দেখতে চাই।'
ছাত্র–জনতার ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার গাজীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস বলেন, বাংলাদেশের কোথাও আমার কোনো সহযোদ্ধার গায়ে কেউ হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে পুরো বাংলাদেশ নতুন করে আবার জেগে উঠবে। আমরা প্রয়োজনে ঢাকায় নামতে পারি, গাজীপুরে আসতে পারি, প্রয়োজনে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় ছড়িয়ে যেতে পারি। আমরা অভ্যুত্থানে দেখেছি, এদেশের ছাত্র জনতা সঠিক বাংলাদেশ নির্মাণে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ধৈর্য ধরেছে। ধৈর্যের একটা বাঁধ আছে। দেশের প্রশাসন থেকে শুরু করে তারা যদি আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে ফেলে তাহলে এই বাংলাদেশে নতুন আরেকটি বিপ্লব আপনাদেরকে দেখতে হবে।'
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলছি গতকাল শুক্রবার রাতে আ ক ম মোজাম্মেলের বাসায় হামলায় যে সন্ত্রাসীরা জড়িত ছিল তাদেরকে আজকের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে জানানো হয়েছে এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজকের মধ্যেই গ্রেপ্তার এবং সার্বিক বিষয়ে একটি প্রেস ব্রিফিং করবে আমরা সেটির অপেক্ষায় আছি। আমরা আর প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী না। আমরা এর বাস্তবায়ন দেখতে চাই। আজকে আমরা এখানে অবস্থান করব, প্রশাসনের কাজ দেখব। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের এই দাবিগুলোর বাস্তবায়ন না হচ্ছে, ওই সন্ত্রাসীরা যতক্ষণ পর্যন্ত না কারাগারে না যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা অবস্থান করব।'
গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শহরের রাজবাড়ী সড়কের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ওই সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম যোগ দেন তাদের সঙ্গে।
Comments