আমাদের ব্যর্থতা আছে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই: আইন উপদেষ্টা

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আশ্বস্ত করেছেন, সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

আজ সোমবার রাজশাহীতে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে সম্মেলন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অনেকে।

আইন প্রয়োগে চ্যালেঞ্জগুলো উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, 'যাদের বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকার যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ আছে, তাদের ব্যাপারে যথোপোযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কেউ যেন অহেতুক হয়রানির মধ্যে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করতে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান জোরালোভাবে কাজ করবে।'

'আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি গত ছয় মাসে মাঝে মাঝে ভালো থেকেছে, আবার মাঝে মাঝে খারাপ হয়েছে। পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির কিছু মানুষ পালিয়েছে, বেশিরভাগ তো থেকে গেছে। এবং তাদের হাতে হাজার হাজার কোটি টাকা। টাকা থাকলে, বদ মতলব থাকলে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার জন্য অনেক কিছু করা যায়,' যোগ করেন তিনি।

আসিফ নজরুল আরও বলেন, 'আমাদের ব্যর্থতা আছে এটা অস্বীকার করার কোনো রকম উপায় নেই। তবে আমাদের এ ব্যর্থতার উত্তোরণের জন্য প্রচণ্ড চেষ্টা আছে। আপনারা তো দেখলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কাল মধ্যরাতে সংবাদ সম্মেলন করলেন। ব্যর্থতা থাকতে পারে। কিন্তু উনার মধ্যে চেষ্টা আছে।'

সম্মেলনে পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেন, 'ছিনতাই, ধর্ষণ ও অন্যান্য অপরাধের ঘটনা আমরা তদন্ত করছি। ঢাকা শহরের প্ল্যানটা একটু ভিন্ন। এখানকার জন্য একটু ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের প্রতিশ্রুতিগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এবং সে অনুযায়ী কাজ করছি, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আশা করি, আমরা দ্রুতই অপরাধ কমাতে সক্ষম হবো।'

সম্মেলন শেষে আসিফ নজরুল প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন।

সেখানে উপস্থিত হয়ে রাজশাহীর কিছু শিক্ষার্থী আইন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন।

তাদের অভিযোগ, আইন উপদেষ্টা তাদের কথা শোনেননি। রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মায়মুন খাতুন মহিমা বলেন, 'আমরা তার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। আমরা জানতে চেয়েছিলাম ধর্ষকদের কীভাবে জামিন দেওয়া হচ্ছে, কীভাবে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা বাড়ছে। কিন্তু তিনি আমাদের দেখেও কথা না বলে চলে গেলেন।'

একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী লতিফুর রহমান ঘোষণা দেন যে, যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তাহলে আমরা আইন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে যাব।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam, associates laundered money thru shell firms

Mohammed Saiful Alam and his family have acquired vast wealth at home and abroad, using money siphoned off through loans taken in the name of front companies

10h ago