‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়িত হলে প্রশাসনিক ফ্যাসিজম শক্তিশালী হবে’

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ
‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ও সেবামূলক রাষ্ট্র গঠনে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে 'প্রশাসনিক ফ্যাসিজম' আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান এ কথা বলেন।

আজ শনিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিসের সম্মেলন কক্ষে 'জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ও সেবামূলক রাষ্ট্র গঠনে করণীয়' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মুহম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, 'সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ক্ষমতাধর একটি গোষ্ঠীর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধির প্রয়াস লক্ষ করা গেছে। এই রিপোর্ট পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারের বিষয় সংস্কার প্রস্তাবে না রাখা এবং পরিসংখ্যান ক্যাডারকে অযৌক্তিকভাবে সার্ভিসের বহির্ভূত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এর ফলে এইসব সেক্টরে মেধাবীরা কম আকৃষ্ট হয়ে মেধাশূন্য হয়ে পড়বে।'

'বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ও জেলা পরিষদকে বিলুপ্ত করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি, বাস্তবতা বিবর্জিত প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থার প্রস্তাব জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের অন্তরায়' বলে উল্লেখ করেন প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী।

তিনি আরও বলেন, 'কোনো ব্যক্তির মেধা যাচাইয়ের অন্যতম মাপকাঠি হচ্ছে গাণিতিক দক্ষতা। অথচ, গণিতকে বাদ দিয়ে অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে মুখস্ত করার প্রবণতাকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে, যা যথাযথভাবে মেধা মূল্যায়নের অন্তরায়।'

মতবিনিময় সভায় পরিষদের পক্ষ থেকে কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় (ক্যাডার যার, মন্ত্রণালয় তার) বাস্তবায়ন, উপসচিব পদে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ, সকল ক্যাডারের সমতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারসহ সব ক্যাডারকে একই কমিশনের আওতায় রাখা, জেলা কমিশনারকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব প্রদানের প্রস্তাব বাতিল, 'এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস' এর পরিবর্তে 'ভূমি সার্ভিস' বা 'ভূমি ব্যবস্থাপনা সার্ভিস' নামকরণ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে 'মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়' অথবা 'সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়' হিসেবে নামকরণসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ মো. আরিফ হোসেন।

Comments

The Daily Star  | English

22 sectors still pay wages below poverty line

At least 22 sectors in Bangladesh continue to pay their workers much less than what is needed to meet basic human needs.

10h ago