মব পরিস্থিতি তৈরি হলে এখন থেকে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা: মাহফুজ আলম

আইন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে এক যৌথ ব্রিফিংয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, মব পরিস্থিতি তৈরি হলে বা থানা ঘেরাও পরিস্থিতি তৈরি হলে এখন থেকে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ রোববার দুপুরে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আইন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে এক যৌথ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

মাহফুজ বলেন, 'আজ প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, কোথাও মব পরিস্থিতি তৈরি হলে বা থানা ঘেরাও পরিস্থিতি তৈরি হলে আমরা খুব কঠোর ভূমিকা রাখব। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

তিনি বলেন, 'আমরা এখন থেকে নৈরাজ্যের বিষয়ে "জিরো টলারেন্স" নীতি নিয়েছি। জনগণকে জানাতে চাই, যেখানেই মব জাস্টিস হবে সেখানে যেই হোক না কেন, আমরা এখন থেকে কঠোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হব।'     

যারা মব সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, 'তাদের (মব সৃষ্টিকারী) চিহ্নিত করা হচ্ছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যদি পাই বা যদি মামলা হয়, আমরা ব্যবস্থা নেব।' 

তিনি বলেন, 'তারা নজরদারিতে আছে। গত ৭-৮ মাসে যে যেখানে ঝামেলা করেছে, যে যেখানে মব করেছে, সবাইকে নজরদারিতে আনার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে বলা হয়েছে।' 

'হিজবুত তাহরিরের মিছিল থেকে শুরু করে আমরা প্রত্যাশা করিনি এমন কিছু যেখানে হয়েছে, আমরা বলেছি আজ থেকে আমরা কো-অর্ডিনেশন করে সবগুলো তথ্য একত্রিত করে যে অপরাধী পাওয়া যাবে, তাকেই আমরা গ্রেপ্তার করব,' বলেন তিনি।

মাহফুজ আরও বলেন, 'আমরা অপেক্ষা করব না। পেলেই গ্রেপ্তার করব। 

আরেক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ বলেন, 'এখানে মব জাস্টিস ইস্যু আছে, মিলিট্যান্ট ইস্যু আছে। এই ইস্যুগুলো যেন মিডিয়াতে ভালোভাবে উপস্থাপিত হয় এবং এগুলোকে মনিটর করা যায়, আমরা তার চেষ্টা করছি। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে শিগগির মিডিয়ার সঙ্গে বসব। 

তিনি আরও বলেন, 'সরকারের বিরুদ্ধে গত ৭-৮ মাস ধরে একটা তথ্য সন্ত্রাস চলতেছে। শিগগির আমরা এর কাউন্টারে যাব।'  

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-Myanmar border landmine explosion

Bangladesh-Myanmar border: Landmine-related injuries on the rise

Having lost her right leg in a landmine explosion, Nur Kaida, a 23-year-old Rohingya woman, now feels helpless at a refugee camp in Teknaf.

12h ago