দুদকের সেই শরীফ উদ্দিনকে চাকরিতে পুনর্বহালের আদেশ

দুর্নীতি দমন কমিশনের বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা সাবেক উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরিতে পুনর্বহালের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০২২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
আদালতের আদেশ হাতে পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শরীফ উদ্দিনকে সব সুযোগ-সুবিধাসহ পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুদককে।
চাকরি থেকে অপসারণের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে শরীফ উদ্দিনের দায়ের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন।
শরীফ উদ্দিনের আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন দোলন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শরীফ উদ্দিনকে বরখাস্ত করার জন্য দুদকের পদক্ষেপকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছে।
সালাহউদ্দিন দোলন বলেন, হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছেন যে শরীফ উদ্দিন তদন্ত করে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থের দুর্নীতি প্রকাশ করেছেন এবং তাকে এ জন্য পুরস্কৃত করা উচিত ছিল কিন্তু তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি বলেন, দুদক দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ৫৪ ধারা অনুযায়ী তিন মাসের বেতন দিয়ে শরীফ উদ্দিনকে অপসারণ করেছে, আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়েই।
২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এক সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দুদক। এরপর ওই বছরের ১৩ মার্চ
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তিনি।
রিট আবেদনের শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আশিফ হাসান।
দুদকের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন প্রায় সাড়ে তিন বছর দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। সে সময় এনআইডি সার্ভার ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি ভোটার করার অভিযোগে ২০২১ সালের জুনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একজন পরিচালক, ৬ কর্মীসহ আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেছিলেন। এ মামলার পরপর ১৬ জুন তাকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়।
শরীফ তার মেয়াদকালে বিভিন্ন খাতে অনিয়মের খবর প্রকাশের জন্য আলোচিত হন। সে সময় তিনি ইসি কর্মকর্তা, কর্মচারী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ইয়াবা চোরাকারবারি, রোহিঙ্গা, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১ ডজনেরও বেশি মামলা করেন।
Comments