নাম মঙ্গল শোভাযাত্রাই থাকছে, স্লোগান ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’

স্টার ফাইল ছবি

এবারের পহেলা বৈশাখে চাকমা, মারমা, সাঁওতাল ও গারোসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার স্লোগান—নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সকাল ১১টার দিকে সভা শুরু হয়। এতে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও যোগ দেন।

গতকাল রোববার সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর এক বক্তব্যকে ঘিরে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম কী হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান অনেকে। 

এদিন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফারুকী বলেন, 'এটার নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা, সেখান থেকে হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। যে নাম একবার পরিবর্তিত হয়েছে, যদি সবাই সর্বসম্মত হয় তাহলে পরিবর্তিত হবে, সর্বসম্মত না হলে নাও হতে পারে।'

কী নামে এ শোভাযাত্রা হবে, সেটা সোমবারের সভায় নির্ধারিত হবে বলেও জানান উপদেষ্টা।

বিষয়টি নিয়ে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুন্সী শামস উদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের বিষয়ে সভায় কোনো আলোচনা হয়নি। এছাড়া, শোভাযাত্রার সময়সূচিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

সভায় ঢাবি উপাচার্য ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।

রেজিস্ট্রার মুন্সী শামস উদ্দিন আহমেদ বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রাকে শুধু বাঙালিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অনুষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্য রয়েছে।

সভায় দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও অন্যান্য সংগঠন কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং শোভাযাত্রায় কতজন মানুষ অংশ নেবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।

তিনি আরও জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলও শোভাযাত্রায় অংশ নেবে।

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Persecuted by Arakan Army, Rohingyas fleeing to Bangladesh

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

52m ago