জরাজীর্ণ স্লুইসগেট: নোনা পানি ঢুকে রবিশস্যের ক্ষতি, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ

জোয়ারের পানি ঢুকে আবাদি জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ছবি: স্টার

শুকনো বিল জুড়ে ছিল রবিশস্য, ঈদের দুইদিন আগেও মাটি ফেটে চৌচির। অথচ দুইদিন পর স্ফীত জোয়ারে নোনা পানিতে তলিয়ে গেছে ফসল।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ইটবাড়িয়া গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। 

গ্রামের খন্দকার বাড়ি সংলগ্ন টিয়াখালী নদীর জরাজীর্ণ স্লুইসগেট দিয়ে নোনা পানি প্রবেশ করে ১০০ একর আয়তনের বিলটি তলিয়ে যায়। এতে ভেসে যায় গ্রামের অন্তত ১০টি পুকুরে চাষ করা মাছ।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, আমন মৌসুমে সেখানে শতভাগ জমিতে ধানের আবাদ হয়। ধানের পর ডাল, সূর্যমুখি, ভূট্টাসহ বিভিন্ন রবি ফসলও চাষ হয় এখানে। 

কিন্তু অমাবস্যার প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে গ্রামের খালসহ বিল উপচে একাকার হয়ে গেছে। ফসল ও মাছের ক্ষতির পাশাপাশি নোনা পানির কারণে গ্রামজুড়ে খাবারের পানির সংকট শুরু হয়ে গেছে। 

কৃষক মাহতাব হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হঠাৎ করে নোনা পানি ঢুকে যাওয়ায় ডালের ফলন ধরা গাছগুলো এখন নষ্ট হয়ে যাবে। চোখের সামনে অতিকষ্টে ফলানো রবি ফসল নষ্ট হতে দেখে খুবই খারাপ লাগছে।'

আরেক কৃষক দেলোয়ার তালুকদারের চাষ করা প্রায় চার বিঘা জমির রবিশস্যের খেতেও লবণ পানি ঢুকেছে। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংস্কারের অভাবে এক কপাটের স্লুইসগেটটি আগেই জরাজীর্ণ ছিল। বিনা বাধায় পানি ওঠা-নামা করত। অমাবস্যার প্রভাবে স্ফীত জোয়ারের খুব চাপ ছিল। এখন তো খাল ভরে পুরো বিল ডুবে গেছে। আমার সব ফসল পচে যাচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, 'পুকুরেও নোনা পানি চলে আসায় এখন ব্যবহারের পানির সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকসহ গ্রামের সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে।'

অফিস বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

তবে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'ঈদের ছুটির পর বিষয়টি সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

The life cycles of household brands

For many, these products are inseparable from personal memory

14h ago