মডেল মেঘনা আলমের সহযোগী সামির ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রতারণা মামলায় মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মেঘনা আলমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. দেওয়ান সামিরকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। নারীদের ব্যবহার করে বিদেশি কূটনীতিকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে সামিরের বিরুদ্ধে।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক এই আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে সামিরকে আদালতে হাজির করলে শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১০ এপ্রিল বসুন্ধরা এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সুন্দরী মেয়েদের মাধ্যমে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্লাকমেইল করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করে।
সেদিন রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে দেওয়ান সামিরকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সামির প্রতারকচক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি সুন্দরী তরুণীদের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং পরবর্তীতে তাদের ব্যবহার করে অর্থ আদায়ের নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, এই চক্রটি বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করে। একপর্যায়ে ব্যক্তিগত যোগাযোগ স্থাপন করে এবং ফাঁদে ফেলে রাষ্ট্রদূতের কাছে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দাবি করে। অভিযুক্ত দেওয়ান সামির দাবি করা অর্থ আদায়ের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, বিভিন্ন মাধ্যমে এই ঘটনার জানাজানি হয়ে গেলে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি হুমকির মুখে পড়ে। তাই ঘটনার পেছনের তথ্য ও চক্রের অন্যান্য সদস্যদের অবস্থান জানতে আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন তিনি।
অন্যদিকে, সামির এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না দাবি করে আদালতে জামিন ও রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করে আসামিপক্ষ।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে আসামিপক্ষের আবেদন নামঞ্জুর করে সামিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
ডিবি পুলিশের একটি দল গত ১০ এপ্রিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে কাওয়াই গ্রুপ ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রধান নির্বাহী দেওয়ান সামিরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে, মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে একই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
Comments