চাঁদাবাজি মামলায় মেঘনা আলমের জামিন

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: মেঘনা আলমের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার মেঘনা আলমের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্লাহ এ আদেশ দেন।

ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা এ মামলায় গত ১৭ এপ্রিল গ্রেপ্তার দেখানো হয় মেঘনাকে।

এর আগে ২৪ এপ্রিল আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

মেঘনা আলমের আইনজীবী মহিমা বাধন আজ জামিন আবেদন জমা দিয়ে বলেন, মেঘনার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। 'হয়রানির' অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে জড়িত করা হয়েছে। নারী হিসেবে তাকে জামিন দেওয়া উচিত।

রাষ্ট্রপক্ষ আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতকে বলে, মেঘনাকে বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে, ম্যাজিস্ট্রেট দুই জামিনদারসহ ৫ হাজার টাকার বন্ডে মেঘনার জামিন মঞ্জুর করেন।

আদেশে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, মেঘনা কার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছেন তা স্পষ্ট নয়। এছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, নারী হিসেবে মেঘনার জামিন পাওয়ার অধিকার আছে।

আইনজীবী বাধন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কারাগার থেকে মেঘনার মুক্তিতে আইনি বাধা নেই।'

গত ১৫ এপ্রিল মেঘনা, তার সহযোগী দেওয়ান সামির এবং আরও দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশ এ মামলা করে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য, যারা সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতেন।​

দেওয়ান সামির কাওয়াই গ্রুপের সিইও এবং সঞ্জনা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক।​

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি জাপানি রেস্টুরেন্টে এক কূটনীতিকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনায় বৈঠক করেন তারা।

এর আগে, ৯ এপ্রিল রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।​

১০ এপ্রিল আদালত তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।​

১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে জানতে চান, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।​

মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার ও আটক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

High inflation, costly loans force firms to cut spending

Some manufacturers say they are now opting to reduce office utility consumption, optimise office supplies, minimise bank dependence, and find alternative funding sources.

12h ago