গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন: আলী রীয়াজ

জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাতেই ফ্যাসিবাদী শাসক পলায়নে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এই ঐক্যের মূল চেতনাকে ধারণ করেই এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন তিনি।
আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, 'সংস্কার কমিশনগুলোর পক্ষ থেকে যেসব প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলো প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পুঞ্জিভূত সংকট মোকাবিলার একটি চেষ্টা।'
তবে শুধু সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়নই যথেষ্ট নয়, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো তৈরি, গণতন্ত্রের চর্চা করা এবং গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর এক থাকা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আলী রীয়াজ বলেন, 'জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ফ্যাসিবাদী সরকারকে পলায়নে বাধ্য করেছে। এই ঐক্যের মূল চেতনাকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এটি শুধু আমাদের অঙ্গীকার নয়, এটি আমাদের দায়।'
তিনি বলেন, গত ৫৩ বছর ধরে যারা একটি গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সংগ্রাম করেছেন, তাদের কাছেই এই অঙ্গীকার।
এ সময় কমিশনের সদস্য ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল।
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।
ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। গণসংহতি আন্দোলনসহ এ পর্যন্ত ১৮টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
Comments