জেনোসাইড কী, জেনোসাইড ও গণহত্যা কি এক?

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কার্যালয় গত সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। সেখানে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে জানানো হয়। সেই প্রতিবেদনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় গণহত্যা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন।
তবে তাজুল ইসলামের সেই বক্তব্য গণমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়।
গতকাল মঙ্গলবার চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার সই করা এক 'প্রতিবাদ ও বিবৃতি'তে এমনটা দাবি করা হয়েছে। এই বিবৃতিটি চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন।
এই পোস্টের কিছুক্ষণ আগে তাজুল ইসলাম তার ফেসবুকে আরও একটি লেখা পোস্ট করেন। সেই পোস্টে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'ম্যাসমার্ডার অর্থ হত্যাযজ্ঞ/গণহত্যা। জেনোসাইড মূলত "জাতিগত নির্মূল" (এথনিক ক্লিনজিং) অর্থে গণহত্যা। জুলাইয়ে বাংলাদেশে হত্যাযজ্ঞ (ম্যাসমার্ডার) হয়েছে, জেনোসাইড হয়নি।'
বিবৃতিটি বলছে, 'সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। তারা (গণমাধ্যম) বলেছে যে, চিফ প্রসিকিউটর জুলাই মাসে গণহত্যা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন। এ ধরনের সংবাদ স্পষ্টতই চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্যের বিকৃতি এবং অপপ্রচার।'
চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয় আরও বলেছে, 'চিফ প্রসিকিউটর নিজেই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, জুলাইয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক এবং পদ্ধতিগত হত্যাযজ্ঞ বা ম্যাসমার্ডার সংঘটিত হয়েছে, যা বাংলায় সাধারণভাবে গণহত্যা বলা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী জেনোসাইড হচ্ছে জাতিগত নির্মূল (এথনিক ক্লিনজিং) অর্থে গণহত্যা।'
তবে তিনি (চিফ প্রসিকিউটর) এই ঘটনার জন্য 'জেনোসাইড'–এর অভিযোগ আনেননি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বরং অভিযোগ এনেছেন "ক্রাইম এগেইনস্ট হিউম্যানিটি" বা "মানবতাবিরোধী অপরাধ" হিসেবে, যার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ব্যাপক ও পদ্ধতিগত গণহত্যা।'
আইনের যথাযথ অর্থ না জেনে বা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধও করা হয়েছে বিবৃতিতে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ (২০২৪ অনুযায়ী সংশোধিত)-এ অপরাধগুলোর সংজ্ঞা দেওয়া আছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধ: এর মধ্যে রয়েছে- হত্যা, নিধন, দাসকরণ, জোরপূর্বক স্থানান্তর বা বিতাড়ন, কারারুদ্ধকরণ, অপহরণ, অবরুদ্ধকরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন, জোরপূর্বক গুম, মানবপাচার, যৌনদাসত্ব, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা, জোরপূর্বক গর্ভধারণ, জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ অথবা অন্যান্য অমানবিক কার্যকলাপ- যখন এসব অপরাধ কোনো বেসামরিক জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিস্তৃত বা পদ্ধতিগত আক্রমণের অংশ হিসেবে জ্ঞাতসারে কিংবা রাজনৈতিক, জাতিগত, নৃতাত্ত্বিক বা ধর্মীয় ভিত্তিতে নিপীড়নের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়, তা সংশ্লিষ্ট দেশের অভ্যন্তরীণ আইনের লঙ্ঘন হোক বা না হোক।
এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আক্রমণ, নিপীড়ন, জোরপূর্বক গুম, যৌনদাসত্ব, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা, জোরপূর্বক গর্ভধারণ, জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ- শব্দগুলোর সংজ্ঞা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধির অনুচ্ছেদ ৭ (২)-এ বর্ণিত সংজ্ঞাগুলো অনুসরণ করবে, যা বাংলাদেশ ২০১০ সালের ২৩ মার্চ অনুমোদন করেছে।
জেনোসাইড: কোনো জাতীয়, জাতিগত, বর্ণগত [বা ধর্মীয় গোষ্ঠী]-কে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত নিচের যেকোনো কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত হবে, যেমন:
. গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা।
. গোষ্ঠীর সদস্যদের গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতিসাধন।
. ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো গোষ্ঠীর ওপর এমন পরিস্থিতি চাপিয়ে দেওয়া, যাতে তারা সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস হয়ে যায়।
. গোষ্ঠীর মধ্যে জন্মরোধ করার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা আরোপ।
. এক গোষ্ঠীর শিশুদের জোরপূর্বক অন্য গোষ্ঠীতে স্থানান্তর।
যুদ্ধাপরাধ: যুদ্ধের আইন বা প্রথা ভঙ্গ করা, এতে অন্তর্ভুক্ত তবে সীমাবদ্ধ নয়- বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে বেসামরিক লোকদের হত্যা, তাদের প্রতি অমানবিক আচরণ অথবা দাসকরণ কিংবা অন্য যেকোনো উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক নির্বাসন, যুদ্ধবন্দি বা সমুদ্রে অবস্থানরত ব্যক্তিদের হত্যা বা তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ, জিম্মি ও বন্দিদের হত্যা, সরকারি বা বেসরকারি সম্পত্তি লুট, ইচ্ছাকৃতভাবে নগর, শহর বা গ্রামের ধ্বংস সাধন অথবা সামরিক প্রয়োজনকে ন্যায্যতা দেয় না- এমনভাবে ধ্বংস সাধন।
১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশনে বর্ণিত সশস্ত্র সংঘাতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যেকোনো মানবিক বিধির লঙ্ঘন।
আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অন্য যেকোনো অপরাধ।
এরকম যেকোনো অপরাধ সংঘটনের প্রচেষ্টা, সহায়তা [ষড়যন্ত্র বা উস্কানি]।
এরকম যেকোনো অপরাধে সহায়তা করা অথবা সেই অপরাধ সংঘটন প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়া।

জেনোসাইড
জাতিসংঘের 'জেনোসাইড প্রতিরোধ ও সুরক্ষার দায়িত্ব সংক্রান্ত দপ্তরের' ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, পোলিশ আইনজীবী রাফায়েল লেমকিন ১৯৪৪ সালে তার 'অ্যাক্সিস রুল ইন অকুপাইড ইউরোপ' বইতে প্রথম জেনোসাইড শব্দটি ব্যবহার করেন। এটি গ্রিক উপসর্গ 'জেনোস' (যার অর্থ জাতি বা গোষ্ঠী) এবং ল্যাটিন প্রত্যয় 'সাইড' (যার অর্থ হত্যা) নিয়ে গঠিত।
লেমকিন হলোকাস্টের সময় পদ্ধতিগতভাবে ইহুদী নিধনে নাৎসি নীতি এবং একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে পরিচালিত কর্মকাণ্ডের অতীত ইতিহাসের উদাহরণগুলোর প্রতিক্রিয়া হিসেবে শব্দটি তৈরি করেছিলেন।
পরবর্তীতে রাফায়েল লেমকিন জেনোসাইডকে আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতিদান ও বিধিবদ্ধ করার প্রচারণায় নেতৃত্ব দেন।
১৯৪৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জেনোসাইডকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে প্রথম অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৪৮ সালের জেনোসাইডের অপরাধ প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশনে (জেনোসাইড কনভেনশন) বিষয়টিকে একটি স্বতন্ত্র অপরাধ হিসেবে বিধিবদ্ধ করা হয়েছিল। ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১৫৩টি সদস্য রাষ্ট্র বিষয়টিকে অনুমোদন করেছে।
জেনোসাইড কনভেনশনের অনুচ্ছেদ-২-এ জেনোসাইডের সংজ্ঞায়ন ছিল একটি আলোচনার ফল এবং ১৯৪৮ সালে কনভেনশনের খসড়া তৈরির সময় জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছিল তার প্রতিফলন।
জেনোসাইডকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধির (অনুচ্ছেদ ৬) পাশাপাশি অন্যান্য আন্তর্জাতিক এবং হাইব্রিড বিচারব্যবস্থার বিধিতেও জেনোসাইড কনভেনশনের মতো একই পরিভাষায় সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
অনেক রাষ্ট্র তাদের দেশীয় আইনেও জেনোসাইডকে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
জেনোসাইড কনভেনশনের অনুচ্ছেদ-২-এ 'জেনোসাইড'-এর সংজ্ঞায়ন
বর্তমান কনভেনশনে জেনোসাইড বলতে নিম্নোক্ত- কোনো জাতীয়, জাতিগত, বর্ণগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার অভিপ্রায়ে সংঘটিত কোনো কাজকে বোঝায়:
. গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা।
. গোষ্ঠীর সদস্যদের গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতিসাধন।
. ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো গোষ্ঠীর ওপর এমন পরিস্থিতি চাপিয়ে দেওয়া, যাতে তারা সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস হয়ে যায়।
. গোষ্ঠীর মধ্যে জন্মরোধ করার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা আরোপ।
. এক গোষ্ঠীর শিশুদের জোরপূর্বক অন্য গোষ্ঠীতে স্থানান্তর।
অপরাধের উপাদান
জেনোসাইড কনভেনশন অনুচ্ছেদ-১-এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, জেনোসাইড একটি আন্তর্জাতিক বা অ-আন্তর্জাতিক সশস্ত্র সংঘাত কিংবা একটি শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটেও সংঘটিত হতে পারে।
শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতে জেনোসাইড সংঘটিতের উদাহরণ কম, তবে তা ঘটতে পারে। একই অনুচ্ছেদে জেনোসাইড প্রতিরোধ ও শাস্তি প্রদানে চুক্তিকারী পক্ষগুলো বাধ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেনোসাইড সম্পর্কে যে ধারণাটি সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচলিত, তা আন্তর্জাতিক আইনে নির্ধারিত সংজ্ঞার চেয়েও অধিক বিস্তৃত। জেনোসাইড কনভেনশন অনুচ্ছেদ-২-এ জেনোসাইডের একটি ছোট্ট সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে দুটি প্রধান উপাদান রয়েছে:
মানসিক উপাদান: কোনো জাতীয়, জাতিগত, বর্ণগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার অভিসন্ধি।
ভৌত উপাদান, যা নিচের পাঁচটি কার্যকলাপকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং যেগুলো নির্দিষ্টভাবে তালিকাভুক্ত:
- গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা।
- গোষ্ঠীর সদস্যদের গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতিসাধন।
- ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো গোষ্ঠীর ওপর এমন পরিস্থিতি চাপিয়ে দেওয়া, যাতে তারা পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস হয়ে যায়।
- গোষ্ঠীর মধ্যে জন্মরোধ করার উদ্দেশ্যে ব্যবস্থা আরোপ।
- এক গোষ্ঠীর শিশুদের জোরপূর্বক অন্য গোষ্ঠীতে স্থানান্তর।
উদ্দেশ্য নির্ধারণই হলো জেনোসাইডের সবচেয়ে জটিল উপাদান। কোনো ঘটনাকে জেনোসাইড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হলে, কোনো জাতীয়, জাতিগত, বর্ণগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার অভিসন্ধির প্রমাণ থাকতে হবে।
শুধু সাংস্কৃতিক ধ্বংসই যথেষ্ট নয়, কিংবা কোনো গোষ্ঠীকে কেবল ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যও জেনোসাইড হিসেবে গণ্য হওয়ার জন্য যথেষ্ট না। এই বিশেষ উদ্দেশ্য, যাকে 'ডালাস স্পেশাল' বলা হয়, সেটিই জেনোসাইডকে অন্যান্য অপরাধ থেকে আলাদা করে তোলে। এছাড়াও, বিচারিক রায়গুলোতে দেখা গেছে যে, এই উদ্দেশ্যের সঙ্গে প্রায়শই একটি রাষ্ট্রীয় বা সাংগঠনিক পরিকল্পনা বা নীতির অস্তিত্ব জড়িত থাকে—যদিও আন্তর্জাতিক আইনে জেনোসাইডের সংজ্ঞার মধ্যে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত নয়।
এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হয়- এটি কখনোই এলোমেলো নয়। তাদের টার্গেট করা হয় এই কারণে যে, তারা প্রকৃত বা অনুমানযোগ্যভাবে সেই চারটি গোষ্ঠীর (জাতীয়, জাতিগত, বর্ণগত, বা ধর্মীয়) অন্তর্ভুক্ত, যেগুলো জেনোসাইড কনভেনশনের অধীনে সুরক্ষিত (উল্লেখ্য, রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো এই সুরক্ষার আওতাভুক্ত নয়)।
এর অর্থ হলো- ধ্বংসের লক্ষ্য হতে হবে গোষ্ঠীটি- ব্যক্তি হিসেবে গোষ্ঠীর সদস্যরা নয়। জেনোসাইড শুধু পুরো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই নয়, গোষ্ঠীর একটি অংশের বিরুদ্ধেও সংঘটিত হতে পারে—যতক্ষণ না সেই অংশটি শনাক্তযোগ্য (যেমন, একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলের মধ্যে) এবং 'উল্লেখযোগ্য' পরিমাণের হয়।
Comments