কোরীয় সাহিত্য সন্ধ্যায় ভাষানীতি ও সাংস্কৃতিক সমন্বয়ের তাগিদ

ছবি: সংগৃহীত

কোরিয়ার সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিশ্বজয়ের আলোকে বাংলাদেশের নিজস্ব ভাষানীতি প্রণয়ন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপাদানের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা।

শুক্রবার (১৬ মে) ঢাকার পরিবাগে উজান প্রকাশন আয়োজিত 'কোরিয়ান সাহিত্য সন্ধ্যায়' এই অভিমত উঠে আসে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান এলটিআই কোরিয়ার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বক্তারা কোরিয়ার সাংস্কৃতিক উত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষণীয় দিকগুলো তুলে ধরেন।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও অনুবাদক অধ্যাপক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস আক্ষেপ করে বলেন, 'স্বাধীনতার এত বছর পরও আমাদের কোনো ভাষানীতি নেই, যা অনেক আগেই হওয়া দরকার ছিল। একটি দেশের জন্য সমন্বিত ভাষানীতি জরুরি।'

তিনি বহুভাষী জনগোষ্ঠী তৈরির ওপরও জোর দেওয়ার আহ্বান জানান।

ছবি: সংগৃহীত

প্রত্নতাত্ত্বিক অধ্যাপক মাসউদ ইমরান মান্নু কোরিয়ার সাংস্কৃতিক লড়াইকে একটি 'বিরাট বৈশ্বিক ঘটনা' হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, 'তাদের সাহিত্য থেকে চলচ্চিত্র, চলচ্চিত্র থেকে ওয়েবটুন ও অ্যানিমেশন গ্রহণ করছে। এই সমন্বয়টা আমাদের সাহিত্য, চলচ্চিত্র, সংগীতে নেই।'

তিনি কে-পপের মতো জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক পণ্যে উপস্থাপিত 'মেয়েলি চরিত্রগুলোকেও এক একটা বিকল্প আখ্যানের মুখপাত্র' হিসেবে অভিহিত করেন।

কবি ও অনুবাদক কুমার চক্রবর্তী বলেন, 'অর্থনৈতিক বা সামরিক শক্তিই বড় কথা নয়, দেশের স্থায়ী প্রভাব তৈরিতে সাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্রের মতো "সফট পাওয়ার" গুরুত্বপূর্ণ।'

অনুষ্ঠানে উজান প্রকাশন অনূদিত কোরীয় সাহিত্যের আটটি বইয়ের প্রদর্শনীর কথাও জানান লেখক ও সাংবাদিক ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ। এছাড়া কোরীয় সাহিত্যের অনুবাদ নিয়ে কবি শামসেত তাবরেজী এবং কোরীয় সাহিত্যের ক্রমবিকাশ নিয়ে আলোচনা করেন কবি গৌরাঙ্গ মোহান্ত। আলোচনার ফাঁকে কোরীয় কবিতা আবৃত্তি ও কথাসাহিত্য থেকে পাঠ করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Early US intel assessment suggests strikes on Iran did not destroy nuclear sites: CNN

Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu said Israel had agreed to Trump's ceasefire proposal

2d ago