আন্দোলনরত এনবিআর কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি চলছে

কর্মবিরতিতে থাকা এনবিআর কর্মকর্তারা। ছবি: স্টার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে দেওয়ার মাধ্যমে গৃহীত কর সংস্কার অধ্যাদেশ বাতিলসহ চার দফা দাবিতে দেশের সব অঞ্চলে কর্মবিরতি শুরু করেছেন এনবিআরের আন্দোলনরত কর্মকর্তারা।

আজ শনিবার সকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের সব কর অঞ্চল, কাস্টমস হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মকর্তারা কর্মস্থলে উপস্থিত থাকলেও কোনো ধরনের কাজ করছেন না।

অর্থ মন্ত্রণালয় অধ্যাদেশ সংশোধনের আশ্বাস দিলেও এনবিআর রিফর্ম ইউনিটি কাউন্সিল তা প্রত্যাখ্যান করার পর কর্মবিরতি শুরু হয়।

তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে—এনবিআর বিলুপ্ত না করে এটিকে একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত সংস্থায় রূপান্তর করা।

আন্দোলনরত কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করছেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।

আন্দোলনকারীরা জানান, দেশের অন্যান্য শহরের এনবিআর অফিসগুলোতেও একইভাবে কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।

কাস্টমস হাউসগুলোতে শুধুমাত্র রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা সংক্রান্ত কাজ চালু থাকলেও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। মাঠ পর্যায়ের ভ্যাট ও কর অফিসের কর্মকর্তারাও কর্মবিরতিতে অংশ নিচ্ছেন।

এটি এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলনের অষ্টম দিন। গত ১২ মে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে 'রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ' জারি করেছে, তাতে একটি কর নীতি বিভাগ এবং একটি রাজস্ব সংগ্রহ বিভাগ গঠনের কথা বলা হয়েছে।

সরকার বলছে, নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়নের মধ্যে স্বার্থের দ্বন্দ্ব দূর করতেই এই পুনর্গঠন। তবে এনবিআর কর্মকর্তাদের দাবি, এই অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা বৈষম্যমূলক।

গত সপ্তাহের শেষ দিকে সরকারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আন্দোলন আবারও বেগ পায়। এর ফলে আমদানি, কর সংক্রান্ত কাজ এবং রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে, যা এনবিআরের চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয় তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে সরে এসে নতুন অধ্যাদেশে 'প্রয়োজনীয় সংশোধনী' আনার ঘোষণা দেয়।

তবে ওই রাতেই দেওয়া এক বিবৃতিতে আন্দোলনকারী কর্মচারীরা সরকারের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও বলেন, এতে তাদের মূল দাবি পূরণ হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

NBR activities disrupted as officials continue work abstention

This marks the ninth day of protests since the interim government issued the ordinance on May 12

1h ago