থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন আবদুল হামিদ
দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (টিজি-৩৩৯) রোববার দিনগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, আবদুল হামিদকে হুইলচেয়ারে করে উড়োজাহাজ থেকে নামানো হয়। অবতরণের পর রাত ১টা ৪৫ মিনিটে তিনি ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যান। ৩টার দিকে তিনি বিমানবন্দর থেকে নিজ বাসার উদ্দেশে রওনা হন।
এর আগে, গত ৮ মে আবদুল হামিদ থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩৪০ ফ্লাইটে করে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা হন।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগের ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার জন্য দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার এবং আরও দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
প্রত্যাহার করা কর্মকর্তারা হলেন—কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার হাসান চৌধুরী ও ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহসিন আরিফ।
বরখাস্তকৃতরা হলেন—কিশোরগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক আজহারুল ইসলাম, যিনি হামিদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও ছিলেন এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) উপ-পরিদর্শক (ট্রেইনি) মো. সোলেমান।
এই ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বলেছিলেন, আবদুল হামিদকে দেশত্যাগে যারা সহায়তা করেছেন, তাদের কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।
এরপরই ওই পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার ও বরখাস্ত করা হয়।
আবদুল হামিদের পারিবারিক সূত্র সেই সময় দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছিল, তার সঙ্গে ছিলেন শ্যালক ডা. নওশাদ খান ও ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ।
জুলাই আন্দোলনের সময় একটি মিছিলে হামলার ঘটনায় কিশোরগঞ্জে দায়ের হওয়া একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকেও অভিযুক্ত করা হয়।
আবদুল হামিদ দেশ ছেড়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যসহ সারা দেশে সমালোচনা শুরু হয়।
Comments