জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন বাংলাদেশের স্বার্থেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের স্বার্থেই ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ছয় মাসের নোটিশে সরকার এই কার্যালয় প্রত্যাহার করতে পারবে। 'তবে আমি মনে করি, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না।'
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন নিয়ে বিশেষজ্ঞদের ভিন্ন মতো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই বছর পর এই চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে।
তৌহিদ বলেন, 'আমরা আমাদের স্বার্থকে সামনে রেখেই এই পদক্ষেপ নিয়েছি। জাতিসংঘ প্রস্তাব দেওয়ার পর আমরা তৎক্ষণাৎ সাইন করিনি। সময় নিয়ে বিশ্লেষণ করে তবেই চুক্তি করেছি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতের প্রতি আমার পূর্ণ সম্মান রয়েছে।'
ব্রহ্মপুত্র নদীর উজানে চীনের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ ধরনের প্রকল্প রোধ করতে পারবে না, তবে সতর্ক থাকবে যেন কোনো বড় ধরনের ক্ষতি না হয়।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের নদীগুলোর উৎস তো বাংলাদেশে না। তাই আমাদের দেখতে হবে এই প্রকল্পগুলো যেন কোনো ক্ষতিকর প্রভাব না ফেলে, বা খুব সীমিত প্রভাব ফেলে।'
তিনি জানান, ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত আশ্বস্ত করেছেন যে, এই প্রকল্পগুলো পানি প্রত্যাহারের জন্য নয়, বরং ধাপে ধাপে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে, যা পানিপ্রবাহে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে না।
তিনি বলেন, 'তাই এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।'
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান শুল্ক আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, আলোচনা এখনো চলমান এবং চূড়ান্ত হয়নি।
'যারা আলোচনা করছেন, তাদেরই এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা উচিত। আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না,' যোগ করেন তিনি।
বিভিন্ন দেশে, বিশেষত ভারতে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমাবদ্ধতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ বলেন, 'আমাদের নিজেদের ঘর গোছাতে হবে।'
তিনি বলেন, আবেদনকারীদের উচিত সঠিক তথ্য ও বৈধ কাগজপত্র প্রদান করা।
'ভুল তথ্য দেওয়া আমাদের একটি বড় সমস্যা। এই প্রবণতা রোধ করতে পারলে অনেক সমস্যাই ধীরে ধীরে সমাধান হয়ে যাবে,' বলেন তিনি।
Comments