নোয়াখালীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ: আহত ১০, আটক ৩৩

সোনাপুর-চৌমুহনী চৌরাস্তা সড়কের নোয়াখালী টাউনহল মোড় জিলাস্কুল ও জেলা জামে মসজিদ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

নেয়াখালীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের ৮ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং বিএনপি ৩৩ নেতা-কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সোনাপুর-চৌমুহনী চৌরাস্তা সড়কের নোয়াখালী টাউনহল মোড় জিলাস্কুল ও জেলা জামে মসজিদ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, নিত্যপণ্য, জ্বালানি তেলের মূল্য ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে নোয়াখালী জেলা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে সদর উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি। সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পরে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে।

এসময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ইটের আঘাতে তাদের ৮ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শটগানের ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৩৩ নেতা-কর্মীকে আটক করে সুধারাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচি অনুযায়ী নোয়াখালী সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে আজ বিকাল ৪টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৫০০-৭০০ নেতা-কর্মী রশিদ কলোনি এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে রওনা দেয়। মিছিলটি টাউনহল মোড় পার হয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে আসতে চাইলে কর্তব্যরত পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং পরে সংঘর্ষ বাঁধে।

নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শেষ করে বাড়ি যাওয়ার পথে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।'

পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, 'সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে পুলিশ সোমবার গভীর রাতে দলের ৫ জন নেতা এবং আজ ৩৩ জনকে আটক করেছে।'

তিনি আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আটককৃতদের বিষয়ে তথ্য যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।'

আজ বিএনপির সমাবেশে দলের নেতা আবু নাছেরের সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির দলনেতা এবং নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান, গোলাম হায়দার, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, শহীদুল ইসলাম কিরণ, এবিএম জাকারিয়া, অ্যাডভোকেট তরিকুল আহমেদ, ছলিম উল্যাহ বাহার, মো. আলী কিরণ, নুরুল আমিন খান এবং আজগর উদ্দিন দুখু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English

What are the five charges against Hasina at ICT?

Former home minister Kamal and ex-IGP Mamun have also been accused

37m ago