‘ক্ষমতায় এলে জিয়াউর রহমান হত্যার ঘটনা তদন্তে নতুন কমিশন’
আগামীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় গেলে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যার ঘটনা তদন্তে নতুন কমিশন গঠন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিএনপি মহাসচিব এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, 'আমরা যদি ক্ষমতায় আসি, একটা নতুন কমিশন গঠন করবো। সেই কমিশনটা হবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যার বিচারের জন্য।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা জানতে চাই, কারা এই হত্যার পেছনে ষড়যন্ত্র করেছে। সেটাও ব্যবস্থা নেবো।'
'আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নেপথ্য চক্রান্তকারীদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা হবে'— গতকাল জাতীয় সংসদ আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এই বক্তব্যের পর আজ বিএনপির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা এলো।
এর আগে বিএনপি মহাসচিব দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে পুস্পার্ঘ অর্পণ করেন। তারা প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময় দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, 'জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য ক্ষমতাসীনদের সন্ত্রাসী বাহিনী ও সরকারের পুলিশের পেটুয়া বাহিনীর হামলায় সারা দেশে অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন, অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজকেও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতে আ একজন নিহত হয়েছেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা অবিলম্বে হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় এনে বিচারের দাবি করছি।'
'এই হত্যা করে, গুম করে, হামলা করে জনগণের ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন, গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার আন্দোলনকে কখনোই দমন করা যাবে না। জনগণের বিজয় চলছে, চলতে থাকবে', যোগ করেন তিনি।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন।
জিয়াউর রহমানের অবদান ও এই দলের নেতৃত্বদানের জন্য বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাদেরকে অভিনন্দন জানান মির্জা ফখরুল।
Comments