বরিশালে ২ দিন আগেই জনসভাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মী, পথে বাধার অভিযোগ

বরিশালে আগামী ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী জনসভাস্থলে পৌঁছেছেন।
বরিশালে ২ দিন আগেই জনসভাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মী, পথে বাধার অভিযোগ
সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েক হাজার মানুষ মাঠেই অবস্থান করছেন। ছবি: টিটু দাস/স্টার

বরিশালে আগামী ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী জনসভাস্থলে পৌঁছেছেন।

বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন দূরবর্তী স্থান, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি উপজেলা, কলাপাড়া, বরগুনা জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ভোলার দৌলতখান, চরফ্যাশন ছাড়াও গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া থেকে হাজারের বেশি নেতাকর্মী বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এসে পৌঁছেছেন।

তারা পথে পথে আওয়ামী লীগ কর্মীদের দ্বারা হামলা ও নির্যাতনের শিকারের অভিযোগ করেন।

অন্তত ১০ জনের সঙ্গে কথা বলে এসব হামলা, হুমকির বিষয়ে জানা যায়। এসব আশঙ্কা থেকেই তারা জনসভাস্থলে আগে এসেছেন বলে জানান।

সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েক হাজার মানুষ মাঠেই অবস্থান করছেন। প্রায় সবাই বিভিন্ন ম্যাট, তাবু, ত্রিপল বিছিয়ে জনসভার আগ পর্যন্ত কাটিয়ে দেবেন বলে জানান। আগামীকাল থেকে মাঠেই কয়েক হাজার মানুষের রান্না হবে জানান তারা।

ভোলার দৌলতখান উপজেলার ভেদুরিয়ার থেকে দুপুর দেড়টায় ট্রলারে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে এসেছেন অবদুল হাই। তিনি বলেন, 'আসার পথে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। অনেকেই ভেঙ্গে ভেঙ্গে নৌকায়, হেঁটে, মোটরসাইকেলে এসেছেন। গতকাল রাতে ভেদুরিয়া ঘাটে বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলা হয়।'

কলাপাড়া এমবি কলেজের যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. সালাউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শুধু কলাপাড়া থেকে তারা ২ থেকে ৩ হাজার মানুষ এসেছেন। তবে একজন, দুজন করে মোটরসাইকেলে, নদীপথে এসেছেন। আসার পথে ফোরলেন, রজপাড়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েকজনকে হামলার শিকার হতে হয়েছে, এমনকি মানিব্যাগ, মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'এত বাধার পরও আমরা মাঠে এসে অবস্থান নিয়েছি, জনসভা পর্যন্ত এখানেই থাকবো।'

ভোলার বোরহানউদ্দিন থেকে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এসেছেন বিএনপি কর্মী ডা. শহীদ হোসাইন। তিনি বলেন, 'ভোলা থেকে অন্তত ৫০০ মানুষ এসেছি। আমাদের পথে পথে বাধা দিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকেরা। বিকল্প পথে, এমনকি নৌকায় করে আমাদের আসতে হয়েছে। এখানেই আমরা রাত যাপন করবো।'

রাঙ্গাবালি উপজেলার বাহেরচর গ্রাম থেকে জনসভাস্থলে এসেছেন মিরাজ বয়াতি। তিনি বলেন, 'পথে বাধা দিতে পারে এই আশঙ্কায় এই উপজেলার প্রায় ১ হাজার মানুষ নদীপথে ট্রলার নিয়ে ধুলিয়া ও দশমিনা মাঠে এসে পৌঁছেছি। এই কয়দিন মাঠেই আমরা থাকবো।'

পথে হামলা ও বাধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ধরনের কোনো বিষয় নেই। বিএনপির সমাবেশ নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। যুবলীগ প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমাদের নেতাকর্মীরা নিজেদের মতো করে মিছিল করেছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Awami League didn't nominate anyone in 2 seats

Seat-sharing for JS polls: AL keeps its allies hanging

A crucial meeting between the Awami League and its 14-party allies ended last night without any concrete decisions on seat sharing.

9h ago