১৫-৩০ নভেম্বর বাম জোটের দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্সমূচি
নির্বাচনে আগে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে 'নির্দলীয় তদারকি সরকারের' অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে আগামী ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতান্ত্রিক বাম জোট।
জোটের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে আছে- নিত্যপণ্যের দাম কমানো, সারাদেশে রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, পাচারের টাকা ফেরত আনা ও ঋণখেলাপিদের কাছে থেকে টাকা উদ্ধার।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কার্যালয়ে এক সভা শেষে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ঘোষণা অনুসারে এ কয়েকদিন ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় এবং জেলায় জেলায় জোটের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে পদযাত্রা, সমাবেশ, বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিজ নিজ দাবিতে সংগঠিত হয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে সভায় বলা হয়, সরকার সংকট মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা না নিয়ে দুর্ভিক্ষের হুমকি দিয়ে এক শ্রেণির লুটেরাদের লুটপাটের সুযোগ করে দিচ্ছে, নিজেই অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। লুটের টাকা উদ্ধার করেছে না, আইএমএফের কাছে থেকে শর্তযুক্ত ঋণ নিয়ে দেশকে আরও ঋণের জালে আবদ্ধ করে ফেলছে।
এর পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশ করার ক্ষেত্রে বাধাদান, মিথ্যা মামলা দেওয়া, হুমকি দেওয়া ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের নিন্দা জানানো হয় সভা থেকে।
এছাড়া সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তদারকি সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরুর আহ্বানও জানানো হয়।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আব্দুস সাত্তার, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের রুবেল মিয়া।
Comments