এখন দেশে চাল দেওয়ার জন্য মিসকিন পাওয়া যায় না: মতিয়া চৌধুরী

জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী। ছবি: স্টার

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, এখন আর দেশে চাল দেওয়ার জন্য মিসকিন পাওয়া যায় না।

আজ শনিবার বিকেলে সিংহজানী হাইস্কুল মাঠে জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, 'অতীতে সবাই ক্ষমতায় এসেছেন পেছন দরজা দিয়ে, একমাত্র আওয়ামী লীগ এসেছে জনগণের ভোটের মাধ্যমে।'

তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ যা বলে, তা করে। শেখ হাসিনা যা বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাই করেন। বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক কবিরাজ আছে, যারা দেশের দুঃসময়ে ভবিষ্যতবাণী করেন। আর শেখ হাসিনা এসব রাজনৈতিক কবিরাজদের এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।'

তিনি আরও বলেন, '৬ দফা প্রশ্নে মানুষ বঙ্গবন্ধুকে ভোট দিয়েছিল, বঙ্গবন্ধু মানুষকে মুক্তি দিয়েছেন। আপনার আলোকিত ও উন্নত দেশের স্বার্থে শেখ হাসিনাকে ভোট দেবেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। অতীতে অনেক সরকার ক্ষমতায় ছিলেন, কিন্তু নারীর ক্ষমতায়ন শব্দটি পেপারের কাগজে আসা শুরু হয়েছে শেখ হাসিনার আমলে। এখন আর দেশে চাল দেওয়ার জন্য মিসকিন পাওয়া যায় না।'

'যেখানে নিজেদের থাকার জায়গা হয় না, সেখানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি চাইলে তাদের বিজিবি-আর্মি দিয়ে বিতাড়িত করতে পারতেন, কিন্তু তিনি মানবতার মা, তা করেননি। যারা বর্ণচোরা, দিনে স্বাধীনতার কথা বলে, রাতের অন্ধকারে জামাতের সঙ্গে আঁতাত করে, তাদের প্রতিরোধ করতে হবে,' বলেন তিনি।

ওই সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. এম. এ মান্নান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও শফিউল আলম চৌধুরী (নাদেল), সাংস্কৃতিক সম্পাদক বাবু অসীম কুমার উকিল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English
Global fashion brands are reaping triple-digit profits on Bangladeshi garments

Fast fashion, fat margins: How retailers cash in on low-cost RMG

Global fashion brands are reaping triple-digit profits on Bangladeshi garments, buying at $3 and selling for three to four times more. Yet, they continue to pressure factories to cut prices further.

13h ago