‘বিএনপি ক্ষমতার পেছনে ছুটছে, জনগণের দুঃখের ধার ধারে না’

ইনু
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি ক্ষমতার পেছনে ছুটছে, জনগণের দুঃখ-দুর্দশার ধার ধারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

আজ শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ইনু বলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে বৈশ্বিক সংকটের কারণে একটি অর্থনৈতিক সংকট চলছে। যাতে জনগণের কষ্ট হচ্ছে। এটা সবাই আমরা জানি এবং জনগণের এই কষ্ট দূর করার জন্য শেখ হাসিনার সরকার—আমরা বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এ রকম একটি অর্থনৈতিক সংকটকালে আমরা আশা করেছিলাম, যারা আমাদের সমালোচনা করছেন, যারা নির্বাচন এবং সরকার অদল-বদলের হুঙ্কার ছাড়ছেন তারা এই অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে একটি গঠনমূলক প্রস্তাব আমাদের দেবেন।

সে ব্যাপারে কোনো আলোচনা না করে রাজনৈতিক নৈরাজ্য সৃষ্টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি মনে করি, এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলাটাই জাতির জরুরি কর্তব্য। অনেক দূরে নির্বাচন। নির্বাচন, সরকার অদল-বদলের আগে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করার ইতিবাচক প্রস্তাব হলে তার ভিত্তিতে আমরা পদক্ষেপ নিতে পারতাম। আমাদের বিবেচনায় অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করার জন্য সাধ্য মতো পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে এটা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা হলে আরও ভালো হতো, বলেন তিনি।

ইনু আরও বলেন, চাল, ডাল, তেল, নুন, মুরগির ডিমের দাম কমানোর ইতিবাচক ফর্মুলা যদি ফখরুল সাহেব দিতেন তাহলে আমরা খুশি হতাম। আমি মনে করি, এটা নির্বাচন, সরকার অদল-বদল নিয়ে মাতামাতি করার সময় না। এটা জনগণকে শান্তি দেওয়ার সময়। নিত্যপণ্যের দাম কমানের সময়। বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করার সময়। সরকার সেই কাজটিই করছি। সুতরাং রাজনৈতিক নৈরাজ্য কোনো সমাধান দেবে না। বরং জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবে। গত ১ বছর ধরে বিএনপি বা যারা সমালোচনা করছেন, তারা শুধু সরকার অদল-বদলের কথা বলছেন। যারা সমালোচনা করছেন, তারা তো অতীতে ক্ষমতায় ছিলেন। তারা তো কেউ ফেরেশতা না। তাদের কাছে কোনো জাদুরকাঠি নেই। সে জন্য তারা অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের প্রস্তাব দেন না।

বিএনপির সমালোচনা করে জাসদ সভাপতি বলেন, তারা ক্ষমতায় পেছনে ছুটছেন, জনগণের দুঃখ-দুর্দশার ধার ধারেন না। আমাদের সরকার এই মুহূর্তে জনগণের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আমি আশা করি, শেখ হাসিনার সরকার যেভাবে কোভিড কাল মোকাবিলা করেছে, এই বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করে জনগণকে অবশ্যই স্বস্তি দেবে।

ফখরুল সাহেব বলছেন, সরকার নিরাপদ প্রস্থান করার সুযোগ খুঁজছে। সে রকম তো কোনো লক্ষণ দেখছি না। আমরা তো সাংবিধানিকভাবে একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আমাদের সরকার বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করায় মন দিয়েছে। বাংলাদেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে জাতীয় নির্বাচন যথা সময়ে হতে হবে এবং সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা অংশগ্রহণ করবেন না, তারা আসলে বাংলাদেশে চক্রান্তের রাজনীতি করেন, বলেন ইনু।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

12h ago